November 10, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, February 11th, 2024, 5:33 pm

সিলেটে ধ্বংসের পথে চা শিল্প, বাগান মালিকদের ক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :

চোরাচালান, বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া, বাজার নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধের উচ্চ হারসহ নানা সংকটে ঝুঁকছে সিলেটের চা শিল্পটি। ফলে এ নিয়ে বাগান মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অথচ ১৮৫৪ সালে সিলেটে মালনীছড়া চা বাগানের মাধ্যমে দেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়। সিলেটের তিন জেলায় ১৩৫টি চা বাগানের মধ্যে মৌলভীবাজারে ৯২, হবিগঞ্জে ২৪ ও সিলেটে ১৯টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে শত শত লোক তাদের শ্রম বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে।

রোববার (১১ ফ্রেবুয়ারি) দুপুরে সিলেটের চা বাগানের মালিকদের সংগঠন টি—প্লান্টার সংবাদ সম্মেলন করে নানা সংকটের কথা তুলে ধরে। এসময় সিলেট বিভাগের ২৫টি বাগানের মালিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন চা বাগান মালিক মোহাম্মদ মুফতি হাসান।

এসময় তিনি বলেন, চা শিল্পের উপর কয়েক লক্ষ শ্রমিক, কর্মচারীর জীবন জীবিকা নির্ভরশীল। পরোক্ষভাবে আরো কয়েক লঞ্চ লোক চা শিল্পের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বর্তমানে চা শিল্প কঠিন পরিস্থিতিতে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাগানের ব্যবহৃত রোগবালাই দমনে ঔষধ, সার এবং বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে কিন্তু নিলামমূল্য তারচেয়েও বেশি মাত্রায় কমেছে। ভালো মানের চা ২২০ টাকা ও তদূর্ধ্ব দামে বিক্রি হচ্ছিল যা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। বর্তমানে নিলামমূল্য ১৭০ টাকা ১৭৫ টাকা থেকে নেমে ১০০ টাকা ১১০ টাকায় এসেছে। এমনকি ১০০ টাকার নীচেও নিলামে বিক্রি হচ্ছে। চায়ের এই নিলামমূল্য দিয়ে লাভের প্রশ্নই উঠে না, উৎপাদন খরচ বহন করাই কোনভাবে সম্ভব নয়।

চা শিল্পের সংকটের কয়েকটি কারন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে খুবই নিম্নমানের চা চোরাচালান (স্মাগলিং), নিয়ম বিবর্জিত পদ্ধতিতে পঞ্চগড় এলাকায় নিম্নমানের চা উৎপাদন, আইন অমান্য করে পঞ্চগড় এলাকায় সরাসরি ফ্যাক্টরি থেকে চা বিক্রয়, মজুরী, তেল, রেশন, ঔষধ (এগ্রো ক্যামিকেল) ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া উল্লেখযোগ্য।

সংবাদ সম্মেলনে এই শিল্পের সমাধানের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেজি প্রতি চায়ের নিম্নতম মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ, ভালো মানের চা নিলামে বেশি দর, দেশের বাইরে থেকে চোরাই পথে চা আসা বন্ধ করা, পঞ্চগড় এলাকায় চা উৎপাদনের মান এবং আইন ও বিধিসম্মতভাবে চা বাজারজাত করার ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ দ্রুত গ্রহন করতে হবে।