এস,এ শফি, সিলেট:
সিলেট নগরে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় দুর্ভোগ কমাতে গিয়ে নগরবাসীকে দুর্ভোগে ফেলেছে সিটি কর্পোরেশন। আম্বরখানা-শাহী ঈদগাহ সড়কের একাংশ ভেঙে ড্রেন নির্মাণ করলেও সংস্কার করা হয়নি সড়কের ভাঙা অংশ। ব্যস্ততম এ সড়কে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে পানি জমে থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে ব্যাহত হচ্ছে নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এদিকে সড়কটি সংস্কার নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) মধ্যে চলছে ঠেলাঠেলি। সিসিক বলছে, বর্ধিত অংশ সংস্কার তাদের দায়িত্ব হলেও মূল সড়কের কাজ সওজের। আর সওজ বলছে, পুরো সড়ক সংস্কার করবে সিসিক।
জানা গেছে, আম্বরখানা থেকে শাহী ঈদগাহ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের দুইপাশ বর্ধিত করে অন্তত দুই বছর আগে ড্রেন নির্মাণ শুরু করেছিল সিসিক। গত ছয় মাস আগে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু চলছে সড়কের ভাঙা অংশের সংস্কার কাজ। একাংশ ভাঙা থাকায় প্রতিদিন সারি সারি পাথরবোঝাই ট্রাক চলাচল করায় পুরো সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। চলমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে সড়কের অবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ অবস্থায় সড়ক সংস্কারের দাবিতে গত শুক্রবার সুরমা বয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই মসজিদের সামনে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বারবার সওজ এবং সিসিকের কাছে ধরণা দিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ড্রেন নির্মাণ করায় দুইপাশের সড়ক বড় হয়েছে। বর্ধিত অংশ আমাদের সংস্কার করার কথা। করোনার কারণে তা বিলম্ব হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের টেন্ডার হয়ে গেছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। মূল সড়কের কাজ করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। আমরা শুধু সড়কের পাশের ভাঙা অংশ সংস্কার করবো।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সিলেট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইটের সুরকি দিয়ে নিয়মিত কিছু কাজ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু সিসিক আমাদের জানিয়েছে- মূল সড়কটি তারা সংস্কার করবে। এমনকি এরই মধ্যে নাকি টেন্ডারও হয়েছে বলে জেনেছি। পানির লাইনের কিছু কাজ বাকি- এগুলো শেষ হলেই সড়কের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি