জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
জেলা তথ্য অফিস, সিলেট আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। এর বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। তাই সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মূল বিষয়ে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য অফিস, সিলেটের উপপরিচালক মো সালাহ উদ্দিন।
এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও শ্রেণিপেশার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন-২০২১’ সফলভাবে বাস্তবায়নের পরে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধেই রোডম্যাপ প্রস্তুতসহ ১৪টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল হিসেবে ৮ হাজার ৪০০ তথ্য কেন্দ্র সৃষ্টি হয়েছে, যা ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মোবাইল ব্যবহার করছে ১২ কোটি মানুষ। আগামী বছর বেড়ে যাবে ইন্টারনেট গতি। উপজেলা পর্যায়ে সাড়ে ৪শ টেকনিক্যাল কলেজ হচ্ছে। গড়ে উঠছে দক্ষ জনশক্তি। দেশে-বিদেশে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে। যোগ্যতা অনুসারে কর্মসংস্থান হবে।
ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ফলে দেশে কৃষিতে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। তবে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। কারণ সবকিছু আইন প্রয়োগ করে হয়না।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ স্থাপন করে দেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বাস্তবায়ন করছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মকে ‘রোবট’ সহ বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনায় দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের সঠিক দিকনির্দেশনা দেন।
মতবিনিময় সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাকালীন ও সদ্য প্রাক্তন সভাপতি আল আজাদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংবাদিক-কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরী, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপ পরিচালক শাহ মো নজরুল ইসলাম, উইমেন্স জার্নালিস্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাকিলা ববি, কেএটিএস সভাপতি ইমতিয়াজুর রহমান ইনু প্রমুখ।
আরও পড়ুন
অর্ধেকেরও বেশি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ব্যবহার করে না
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শিকারীরা, বন্ধ হচ্ছে না সুন্দরবনে হরিণ শিকার
চট্টগ্রামে নারী এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার