জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
সিলেট সিটি কর্পোরেশন বর্ধিতকরণ চূড়ান্ত হয়েছে। প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সোমবার (২৬ জুলাই) নিকার সভা হয়। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, নিকার বৈঠকে সিলেট নিটি কর্পোরেশনের বর্ধিতকরণ প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এখন সিসিকে অন্তর্ভুক্ত এলাকাসমূহকে ওয়ার্ডে বিন্যাস করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কাজ শেষে গেজেট প্রকাশ হবে। এরপরই মূলত এটি কার্যকর হবে।
এর আগে ২০২০ সালের ১০ আগস্ট সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কয়েকটি এলাকা সিসিকের আওতাভুক্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত এলাকাগুলো সিসিকে যুক্ত হলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়তন বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৫৮ বর্গকিলোমিটার।
এর আগে ২০০২ সালে সিলেট পৌরসভা থেকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়। প্রাথমিকভাবে ২৬.৫ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে যাত্রা শুরু করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
মূলত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়তন বাড়ানোর প্রক্রিয়া ২০১৪ সালে শুরু করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ২০১৪ সালের ২২ জুলাই স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে এ আবেদন করেন আরিফ।
একই বছরের আগস্ট সিনিয়র সহকারী সচিব সরুজ কুমার নাথ সীমানা পরিবর্তন, সম্প্রসারণ এবং সংকোচন বিধি অনুযায়ী তথ্যাদি উল্লেখসহ পুনঃপ্রস্তাব প্রেরণের অনুরোধ করেন।
এরপর ২০১৫ সালের ২৩ জুন নগরীর বর্তমান আকারের প্রায় ছয়গুণ আয়তন বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব জমা দেয়া হয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে।
আরও পড়ুন
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল