November 3, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, February 14th, 2023, 8:39 pm

সীমান্তে ঘুষ দাবি : বাংলাদেশে ট্রাক পাঠানো বন্ধের ডাক ভারতীয় ব্যবসায়ীদের

অনলাইন ডেস্ক :

পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মাহাদিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ডাক দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন। তাদের অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও মাহাদিপুর সীমান্তের কাস্টমস কর্মকর্তারা ট্রাকপ্রতি ৫০০ রুপি দাবি করেন। না দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়া হয়। এ কারণে হয়রানি বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশে সবধরনের পণ্যবাহী ট্রাক পাঠানো বন্ধের ডাক দিয়েছে মাহাদিপুর এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন। জানা যায়, মাহাদিপুর সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ ট্রাক বাংলাদেশে যায়। ভারত সরকারের সুবিধা অ্যাপের মাধ্যমে স্লট বুক করার পরেও সীমান্তের কাস্টমস কর্মকর্তারা ট্রাকপ্রতি ৫০০ রুপি দাবি করেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। মাহাদিপুর আমদানি-রপ্তানি কেন্দ্রের জয়েন্ট সেক্রেটারি হৃদয় ঘোষ বলেন, আমাদের কর্মীরা কাস্টমসে গেলে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয় এবং বাজে ভাষায় কথা বলা হয়। নথি দিলে টান দিয়ে ফেলে দেয়। নথি কেন ফেলে দিচ্ছেন জানতে চাইলে কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, অর্থ দিতে হবে। হৃদয় ঘোষ বলেন, আমি ছয় লাখ রুপি দিয়ে এখানে এসেছি। আরও অর্থ কোথায় পাবো। আমাদের সংগঠন থেকে বলা হয়, আমরা অতিরিক্ত অর্থ দিতে পারবো না। কিন্তু কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, অর্থ না দিলে আমি কাগজে সই করবো না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমরা কিছু বলতে গেলে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ভয় দেখায়। বলে, এখান থেকে না সরলে বিএসএফ দিয়ে পিটিয়ে সরিয়ে দেবো। আমরা অনেকবার কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। কিন্তু তিনিও শুধু ‘দেখি, দেখছি’ বলেন। কোনো কাজ হয়নি। এ কারণে আজ (মঙ্গলবার) আমরা কর্মবিরতি ডেকেছি। যদিও ব্যবসায়ীদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাস্টমসের কর্মকর্তারা। মালদার জেলা প্রশাসক নীতিন সিংহনিয়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে হঠাৎ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ ছাড়া ট্রাক পাঠানো বন্ধ থাকায় পচনশীল পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।