October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, May 20th, 2022, 8:55 pm

সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

গত কয়েকদিন ধরে ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে অবিরাম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে সুনামগঞ্জের নদ নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ষোলঘরস্থ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার এখনও ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

শহরের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। তবে পানি কমতে শুরু করেছে ।

এছাড়াও জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল এবং এখনও কিছু কিছু উপজেলায় পানি থাকার কারণে দুর্ভোগে আছেন মানুষজন। বিশেষ করে পানির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষজনের রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে লাখো মানুষ চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে জেলার ছাতক উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও বাসাবাড়িতে এখনও পানি থাকায় চরম দুর্ভোগে আছেন সাধারণ মানুষজন।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানিয়েছেন, গতকয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৭৭৭ হেক্টর বোরো ধান, ৭৫ হেক্টর বাদাম, আউশ বীজতলা ৭৪ হেক্টর, সবজি ৬০ হেক্টর, আউশ ধান ২০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতির পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা হবে।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজারে প্রায় সাড়ে ৪শ’ পুকুর ডুবে ৩৫ টন মাছ ও ৩০ লাখ পোনা বানের পানিতে ভেসে যায়, যার ক্ষতির পরিমাণ আড়াই কোটি টাকা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি এবং সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন ইতোমধ্যে ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর ও তাহিরপুরে প্রায় আট হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের মাধ্যমে প্রশাসন উদ্যোগে ১৪০ মেট্রিন টন জি আর এর চাল, নগদ ১২ লাখ টাকা ও দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। ২৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং ২০টির মতো আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তত রাখা হয়েছে।

—-ইউএনবি