অনলাইন ডেস্ক :
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই হলো দারুণ। সেভিয়া এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরল ম্যানচেস্টার সিটি। লড়াই গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানে জিতে উয়েফা সুপার কাপ জয়ের উল্লাসে মাতল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। গ্রিসের এথেন্সে বুধবার রাতে নির্ধারিত সময়ে ১-১ ড্রয়ের পর শিরোপা নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ গোলে জেতে সিটি। পেনাল্টি শুটআউটে সিটির পাঁচ শটে গোল করেন আর্লিং হলান্ড, হুলিয়ান আলভারেস, মাতেও কোভাচিচ, জ্যাক গ্রিলিশ ও কাইল ওয়াকার। সেভিয়ার প্রথম চার শটে জালের দেখা পান লুকাস ওকাম্পোস, রাফা মির, ইভান রাকিতিচ ও গনসালো মনতিয়েল। নেমানিয়া গোদেলের নেওয়া পঞ্চম শট ক্রসবারে লাগলে উল্লাসে ফেটে পড়ে সিটি।
মৌসুমের শুরুতে আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগ জয়ীর মধ্যে হয়ে থাকে এক ম্যাচের এই শিরোপা লড়াই। প্রথমবার এখানে অংশ নিয়েই ট্রফি জিতল সিটি। গত মৌসুমে ট্রেবল জয়ী সিটির এই বছরে চতুর্থ শিরোপা এটি। কোচ হিসেবে চারবার সুপার কাপে অংশ নিয়ে প্রতিবারই শিরোপার স্বাদ পেলেন গুয়ার্দিওলা। ২০০৯ ও ২০১১ সালে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে এবং ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্বে ট্রফি জিতেছিলেন এই স্প্যানিয়ার্ড। সপ্তম মিনিটে গোলের জন্য লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় সিটি, তবে বক্সের বাইরে থেকে গোলরক্ষক বরাবর মারেন তরুণ এটাকিং মিডফিল্ডার কোল পালমার। খানিক পর কাছ থেকে নাথান আকের হেড ফিরিয়ে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।
সপ্তদশ মিনিটে গ্রিলিশের জোরাল শটও ঠেকান তিনি। সিটির আক্রমণের ঝাঁপটা সামলে ২৫তম মিনিট এগিয়ে যায় সেভিয়া। বাঁ দিক থেকে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কোস আকুনার দারুণ ক্রসে বক্সে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের মাঝে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন মরক্কোর ফরোয়ার্ড ইউসেফ এন-নেসিরি। গোল হজমের পর সেভিয়ার ওপর চাপ বাড়ায় সিটি। তবে লা লিগার দলটির রক্ষণের সামনে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন তাদের তারকা স্ট্রাইকার হলান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হারান এন-নেসিরি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ওকাম্পোসের পাস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর মারেন তিনি। ৬৩তম মিনিটে সমতায় ফেরে সিটি। বক্সের বাইরে থেকে রদ্রির ক্রসে দূরের পোস্টে হেডে বল জালে পাঠান পালমার। চলতি মৌসুমে সিটির হয়ে ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের দ্বিতীয় গোল এটি। প্রথমটি করেছিলেন এফএ কমিউনিটি শিল্ডে আর্সেনালের বিপক্ষে। একই বছরে কমিউনিটি শিল্ড ও উয়েফা সুপার কাপে গোল করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় তিনি।
২০০১ সালে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়েন মাইকেল ওয়েন। পরের মিনিটে লিড পুনরুদ্ধারের সুযোগ আসে সেভিয়ার সামনে। এগিয়ে এসে এন-নেসিরির প্রচেষ্টা দারুণভাবে রুখে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন। বাকি সময়ে একের পর এক আক্রমণ করে যায় সিটি। ৮১তম মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে গ্রিলিশের শট ঠেকান বুনো। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আকের হেডও ব্যর্থ করে দেন তিনি। সুপার কাপে আগে নির্ধারিত সময়ে সমতা থাকলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলা হলেও এবার সরাসরি টাইব্রেকারের নিয়ম করে উয়েফা। আড়াই মাস আগে টাইব্রেকারে জিতে ইউরোপা লিগের শিরোপা ঘরে তুললেও এবার পারল না সেভিয়া। ২০০৬ সালে প্রথমবার সুপার কাপে অংশ নিয়ে শিরোপা জয়ের পর এই নিয়ে ছয়বার রানার্সআপ হলো স্প্যানিশ ক্লাবটি। ১০ দিন আগে কমিউনিটি শিল্ডে আর্সেনালের কাছে টাইব্রেকারে হেরে গেলেও এবার জয়ের স্বাদ পেল সিটি।
আরও পড়ুন
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু
নেপালে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৯২