December 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, March 3rd, 2022, 9:17 pm

সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান সভাপতি কে, জানতে চান সাবেক ৪ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) বর্তমান সভাপতি কে, তা জানতে চেয়েছেন সমিতির চার সাবেক সভাপতিসহ জ্যেষ্ঠ ১৯ আইনজীবী। তিনটি প্রশ্ন সামনে রেখে চার সাবেক সভাপতির সই করা এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটিকে পাঠানো হয়েছে। এ চার আইনজীবী হলেন- ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। চারজনই সমিতির সাবেক সভাপতি। চিঠিতে বলা হয়, সমিতির সভাপতি (২০২১-২২ মেয়াদে নির্বাচিত) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু গত বছরের ১৪ এপ্রিল মারা যান। সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদ ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ অবস্থায় সমিতির বর্তমান সভাপতি কে? অপর দুটি প্রশ্ন হচ্ছে, অযোগ্যদের নাম কেন ২০২২-২৩ নির্বাচনে ভোটার তালিকায় এসেছে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে সদস্যদের ভোট ইলেকট্রিক্যালি গণনার ম্যানডেট (ক্ষমতা) কীভাবে এলো। বৃহস্পতিবার (৩ রা মার্চ) চিঠি পাওয়ার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নিশ্চিত করে বলেছেন, চিঠির বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির (২০২২-২৩) দুদিনব্যাপী নির্বাচন আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ। আইনজীবীদের এ নির্বাচন সামনে রেখে সমিতির চার সাবেক সভাপতি স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি বরাবর পাঠানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চিঠিটি গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে আসে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো সভা ছাড়া ইভিএম বা অন্য কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্যালি ভোট গণনা দৃশ্যত সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৫(৬) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আরও বলা হয়, গঠনতন্ত্র ও সদস্য বিধিমালা একসঙ্গে পড়লে দেখা যায়, সমিতির সদস্যরা সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে (অধস্তন আদালতে পেশা পরিচালনাকারী নয়) পেশা পরিচালনা করবেন এবং ঢাকা মহানগর এলাকায় তাদের শুধু একটি কার্যালয় থাকবে। তবে বর্তমান ‘ভোটার তালিকায়’ এমন আইনজীবীদের নাম আছে, যারা সাধারণত অধস্তন আদালতে পেশা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর এলাকার বাইরে। এর মাধ্যমে তারা নিজেরাই সদস্য হওয়ার অযোগ্য, যে কারণে তারা সমিতির ২০২২-২৩ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য নন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব ভোটার তালিকা সংশোধনের পাশাপাশি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বানের মাধ্যমে অ্যাডহক কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে। একইসঙ্গে কার্যনির্বাহী কমিটিকে দ্রুত জবাব দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মর্যাদা রক্ষা এবং সদস্যদের কল্যাণে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বেআইনি এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়গুলো সংশোধনের জন্য দ্রুত একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবৈধ ভোটারমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির প্রস্তাবও রয়েছে চিঠিতে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২১-২২ মেয়াদের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু মারা যাওয়ার পর এক বিশেষ সাধারণ সভায় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এ আমিন উদ্দিনকে বাকি সময়ের জন্য কণ্ঠভোটে সভাপতি ঘোষণা করেন। কিন্তু বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তা মেনে নেননি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২০২২-২০২৩ সালের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। ঘোষিত তফসিলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়ন জমাদান, ৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় মনোনয়ন বাছাই এবং ৬ মার্চ বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ঘোষণা করা হয়। কার্যকরী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সহ-সভাপতি পদে দুটি, সম্পাদক পদে একটি, কোষাধ্যক্ষ পদে একটি, সহ-সম্পাদক পদে দুটি এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে সাতটি পদসহ সর্বমোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।