অনলাইন ডেস্ক :
২০০৯ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সবশেষ সেরা চারে খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর টানা পাঁচবার হতাশা সঙ্গী করে গ্রুপ কিংবা প্রথম পর্বেই শেষ হয়েছে ২০০৩ সালের চ্যাম্পিয়নদের যাত্রা। এবার সেরা চারে খেলার আশায় বুক বেঁধেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ভারতের বেঙ্গালুরুতে বুধবার শুরু হবে সাফের চতুর্দশ আসর। উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি লড়াইয়ে মাঠে নামবে ‘এ’ গ্রুপের চার দল কুয়েত-নেপাল এবং ভারত-পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ লেবানন। বিকেল ৪টায় শুরু হবে খেলা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে নিজ দলের লক্ষ্যের কথা জানালেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। তবে তা পূরণে পথটা যে মোটেও সহজ নয়, তা ভালোভাবেই জানেন কাবরেরা। “আমাদের দলের সবাই খেলতে চায়, সবাই শুরুর একাদশে থাকতে চায়।
আমার মতে, এই গ্রুপে লড়াইটা খুব খুব কঠিন। দলের সবাই (সেমি-ফাইনালে) কোয়ালিফাই করতে চায়, আরও সামনের দিকে যেতে চায়।” “আমাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পাঁচ আসর ধরে সেমি-ফাইনালে যেতে পারছি না। আমরা বিশ্বাস করি, সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছি এবং সেমিতে যাওয়ার জন্য যথাযথ পরিকল্পনা অনুসরণ করছি। হ্যাঁ, আমরা লক্ষ্য পূরণের জন্য কঠিন লড়াইয়ের কথাই ভাবছি।” বিশেষ আমন্ত্রণে অতিথি দল হিসেবে সাফ খেলতে আসা লেবানন র্যাঙ্কিং বিবেচনায় এবারের আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। এ ছাড়া সদ্য সমাপ্ত কন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনাল খেলে এসেছে তারা। তাই স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ প্রস্তুতির কমতি নেই দলটি। তাদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাফে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের নিয়েই বেশি ভাবতে চান বাংলাদেশ কোচ। “আমাদের জন্য মূল বিষয় হলো, নিজেদের ওপর মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে দুই সপ্তাহের যে প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
লেবাননও বেশ কিছু ম্যাচ খেলে এসেছে। যা তাদেরকে প্রথম ম্যাচের জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুত করেছে। আমাদের জন্য এটি নিশ্চিতভাবেই খুব কঠিন লড়াই হতে চলেছে।” “আমাদের বিশ্বাস আছে যে, আমরা প্রস্তুত। ঢাকায় আমরা যেমন পরিবেশে খেলি, বেঙ্গালুরুর আবহাওয়া আমাদের সবার জন্যই কিছুটা ভিন্ন। তো এতে আমি বাড়তি সুবিধা দেখছি না। আমরা নিজেদের দিকে মনোযোগ দিয়ে প্রথম ম্যাচে নামার অপেক্ষায় আছি।” সাফে খেলতে যাওয়ার আগে দুই দফায় অনুশীলন ক্যাম্প করেছেন জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানারা। দেশে নিজেদের মতো প্রস্তুতি নেওয়ার পর কম্বোডিয়া গিয়ে বাকিটা সারেন তারা। ওই সফরে খেলা দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচেই ১-০ গোলের জয় পায় ক্যাবরেরার দল। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল কম্বোডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল টিফফি আর্মি। আর পরেরটিতে কম্বোডিয়া জাতীয় দলকেই হারান তারা।
গত কয়েক আসর ধরে কোনো সাফল্য না এলেও, এবার ভালো করার জন্য নিজেদের এই প্রস্তুতির ওপর ভরসা রাখছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। “এখানে আসার আগে আমরা দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রথমে ঢাকায় এক সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। পরে কম্বোডিয়ায় গিয়ে ভালো প্রস্তুতি হয়েছে আমাদের। একটি স্থানীয় ক্লাব ও কম্বোডিয়া জাতীয় দলের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলেছি আমরা। ম্যাচগুলোতে আমাদের দল ভালো খেলেছে, ইতিবাচক ফল এনেছে।” “আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এখানে এসেছি। আমাদের দল প্রস্তুত, দলের মধ্যে পরিবেশ খুব ভালো। গ্রুপ পর্বে শক্তিশালী দলগুলোর মোকাবিলা করার জন্য দলের মধ্যে যথেষ্ট রোমাঞ্চ, প্রেরণা কাজ করছে।” গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ ভুটান ও মালদ্বীপ। আগামী সপ্তাহে রোববার মালদ্বীপ ও বুধবার ভুটানের মুখোমুখি হবে তারা।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা