অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এশিয়ার বাজারে বেড়ে গেছে তেলের দাম। সোমবার (৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতে বলা হয়, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের সদস্য ও এর সহযোগী দেশগুলো বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে। ফলে এসব দেশ তেলের উৎপাদন বাড়ানো বা কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যে তার প্রভাব পড়ে। সোমবার (৫ জুন) এশিয়ার সকালের বাণিজ্যে অপরিশোধিত তেলের মূল্য ২ শতাংশের বেশি বেড়ে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৭৮ মার্কিন ডলার হয়েছে। আল জাজিরা এবং ব্লুমবার্গের পৃথক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সৌদি আরব একা বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল কম উৎপাদন করবে। গত রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
আগামী জুলাই থেকে তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়টি কার্যকর হবে। বিশ্ববাজারে রাশিয়ার কম মূল্যের জ্বালানি তেলের কারণে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক এবং ওপেক প্লাস চেষ্টা করেও বিশ্ববাজারে তেলের দামের স্থিতাবস্থা ধরে রাখতে পারছিল না। এর আগে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো জ্বালানিতেলের উৎপাদন কমানোর জন্য দুই দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। অবশেষে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীদের দীর্ঘ সাত ঘণ্টার বৈঠক শেষে সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সৌদি একাই নয়, জোটগতভাবে মোট ১৪ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানো হবে। যেখানে সৌদি আরব একা ১০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমাবে এবং ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ সৌদিসহ বাকি সদস্যরা মিলে প্রতিদিন মোট ১৪ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমাবে।
তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আব্দুলআজিজ বিন সালমান বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য বিশাল এক প্রাপ্তির দিন; কারণ এ চুক্তির যে গুণগত মান, তা অসাধারণ, নজিরবিহীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর এ সিদ্ধান্ত অনেক বেশি স্বচ্ছ এবং ন্যায্য।’ ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের অশোধিত তেলের প্রায় ৪০ শতাংশ এককভাবে উৎপাদন করে থাকে। এর ফলে সহজ হিসাব বলছে, সৌদি আরবের নীতিগত এ সিদ্ধান্ত তেলের দামের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ