November 10, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, August 18th, 2023, 8:36 pm

সৌদি সফরে হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান

অনলাইন ডেস্ক :

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সৌদি আরব সফর করেছেন। গত বৃহস্পতিবার একদিনের সরকারি সফরে মন্ত্রী এখন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এমটি জানা গেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। চলতি বছরের মার্চে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপনের পর এটিই আব্দুল্লাহিয়ানের প্রথম সৌদি সফর। এর আগে গত জুনে তেহরান সফররত সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, একদিনের এ সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ বিমানবন্দরে পৌঁছালে সৌদি আরবের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দুই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী গত ১০ মার্চ চীনের মধ্যস্থতায় পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তিতে সই করে।

১৯৭৯ সালে ইরানের পশ্চিমাবিরোধী ইসলামি বিপ্লব ও শিয়া ধর্মতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই রিয়াদ-তেহরানের মধ্যে মতাদর্শগত ও সামরিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বা উত্তেজনা ছায়াযুদ্ধে রূপ নেয়। তখন থেকেই রিয়াদ ও তেহরান মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালানো শুরু করে। তবে নানা কারণে ইরান এ ক্ষেত্রে খুব একটা সফল হতে পারেনি। ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সৌদি সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সংঘাত পরবর্তী দেড় দশকে এ অঞ্চলের অধিকাংশ অংশকে কার্যত স্থবির করে দেয়।

অন্যদিকে, ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের দমন করতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযান শুরু করে, যা বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া, দুই দশকের দীর্ঘ এ রাজনৈতিক সংকটে সিরিয়া, ইয়েমেন, লেবানন ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশে বিশাল অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত সংকট সৃষ্টি করে। ২০১৬ সালে সৌদি আরব শিয়া ধর্মগুরু নিমর আল-নিমরকে মৃত্যুদ- দেয়। এর জেরে তেহরানের সৌদি দূতাবাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে সৌদি ও ইরানের কর্মকর্তারা অন্ধকার সে অধ্যায়টি পুনরায় চালু করতে আগ্রহী হন। সূত্র: রয়টার্স