নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর দক্ষিণখান থানার আইনুশবাগ এলাকার বাসিন্দা আবদুর রশিদকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জাপানি হান্নান, তার ছেলে ও ভাইসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। বুধবার (২রা ফেব্রুয়ারি) আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক আজিজুল হক এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে অপর আসামিরা হলেন জাপানি হান্নানের ছেলে মো. ইকরামুল ইসলাম, তার ভাই মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন, মো. জহিরুল ইসলাম রিপন প্রধান, মো. খোরশেদ আলম, মো. মোশারফ হোসেন, মো. নুরনবী, সবুজ, মো. হাবিবুর রহমান, সজল, মো. ধলা মিয়া ও মো. আবদুল মালেক। এ ১৩ আসামির মধ্যে সবুজ, হাবিবুর রহমান, সজল, ধলা মিয়া পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও নাম-ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় আসামি শাহাদাত হোসেনসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণখানের আইনুশবাগ (চাঁদনগর) এলাকায় আবদুর রশীদ নামে এক যুবককে জাপানি হান্নান ও তার সহযোগীরা গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর সড়কে দীর্ঘক্ষণ পড়েছিল রশীদের মরদেহ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রশীদ ও হান্নানের মধ্যে পূর্ব-শত্রুতা ছিল। সর্বশেষ বালু রাখাকে কেন্দ্র করে রশীদের কাছে চাঁদা দাবি করে হান্নান। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আবদুর রশিদ ওই এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর হান্নানসহ আটজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ওইদিন রাতেই নিহত আবদুর রশিদের বড় ভাই হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে জাপানি হান্নানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয়ে পাঁচজনসহ মোট ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
কোটা আন্দোলন: র্যাবের হেলিকপ্টারে করে কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে পড়া পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার
কোটা সংস্কারে নীতিগতভাবে একমত, আলোচনায় বসতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
দেশজুড়ে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন