অনলাইন ডেস্ক :
গাজার আল-শিফা হাসপাতালের বেসমেন্টে তল্লাশি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। গত বুধবার ভোর থেকে এ অভিযান চালায় তারা। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এই হাসপাতালের ভবনগুলোর নিচে ভূগর্ভস্থ টানেলে অস্ত্র গুদামজাত করে রেখেছে ও তারা সেখানে একটি কমান্ড সেন্টার পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ তোলে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে এক ভিডিওতে আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, গোলাবারুদ ও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতাল কমপ্লেক্সের একটি ভবন থেকে এগুলো উদ্ধারের দাবি করেছেন তারা।
বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “একটি সুনির্দিষ্ট, গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক পদ্ধতিতে সেনারা হাসপাতালটিতে তল্লাশি চালাচ্ছে। আরও তথ্য পাওয়ার জন্য, আরও সম্পদ খুঁজে পাওয়ার জন্য এবং হাসপাতালের মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রকাশ করার জন্য আমরা তল্লাশি চালিয়ে যাবো।”এদিকে জাতিসংঘের যুদ্ধ বিরতি ও মানবিক প্যাসেজ তৈরির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিওর হাইয়াত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘২৩৯ যুদ্ধবন্দীকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত লড়াই থামাবে না ইসরায়েল।
আপাতত গাজায় নতুন কোনো করিডোর বা প্যাসেজ তৈরির প্রশ্নই ওঠে না।’ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও শুরুতে এ সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ দাবি করেছিল দেশটি। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে বলে ইসরায়েল দাবি করে আসছে। হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নির্বিচার ও বিরামহীন হামলায় গাজায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু