অনলাইন ডেস্ক :
তারকাদের প্রতিবছরই কাজের একটি খতিয়ান থাকে। সেখানে চলতি বছরটি কেমন গেল এবং আসছে বছরের নতুন পরিকল্পনাগুলো লিপিবদ্ধ থাকে। ২০২২ সাল ঘিরে তাদের তেমনই কিছু প্রত্যাশা ও কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে এই আয়োজন।
মামুনুর রশিদ: নতুন বছর আমার প্রত্যাশা বলতে, আমরা যারা এই শিল্পে কাজ করি তারা প্রত্যেকেই যেন একটু সংস্কৃতিমনা হই। যাতে আমাদের কাজের মান আরো উন্নত হয়। দেশের সংস্কৃতিকে যেন আরো বিস্তরভাবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে পারি।
ববিতা: সেই ২০১৯ সাল থেকেই আমরা আতঙ্কের মাঝে আছি। অনেককেই হারিয়ে ফেলেছি করোনায়। নতুন বছরে প্রত্যাশা থাকবে নতুন করে যেন আমরা আর কাউকে না হারাই। সুস্থ পৃথিবীতে শান্তিতে যেন সবাই বাঁচতে পারি।
খুরশিদ আলম: এখন তো শুধু আমাদের দেশ নয়, পৃথিবীজুড়ে করোনার প্রভাব পড়েছে। নতুন বছরে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এই মহামারি থেকে তিনি আমাদের সবাইকে মুক্ত করে দিন। সবাই যেন সৎ ভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারি। আমাদের গান-বাজনার জায়গায় যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে সেটা আগামী ১শ’ বছরে স্বাভাবিক হবে কি-না সৃষ্টিকর্তা জানেন। তবু তার কাছে চাই আমাদের যার যা কিছু ছিল তা যেন দুঃখ-ব্যথা ভুলে নতুন করে আবার শুরু করতে পারি। আমাদের অপূর্ণতা যেন আর না থাকে। নতুন বছরে আরো একটি প্রত্যাশার জায়গা হলো যার যে কাজ তাকে দিয়ে যেন সেই কাজটিই করানো হয়। গানের মানুষকে গানে, রাজনীতির মানুষকে রাজনীতিতেই রাখা হয়। দেশকে ভালোবেসে ধনী-গরিব সবাই যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারি, এটিই আমার কামনা।
অরুণা বিশ্বাস: নতুন বছরের প্রত্যাশা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পটি যেন কুলষিত মুক্ত হয়। কারণ আমরা চলচ্চিত্রে কোনো ধরনের কুলষতা চাই না। শিল্প-সংস্কৃতি আরো বিকশিত হওয়ার সঙ্গে যেগুলো হারিয়ে গেছে সেগুলোও ফিরে আসুক। আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারি।
জাহিদ হাসান: নতুনের কাছে তো আমাদের সবসময়ই ভালো কিছুর প্রত্যাশাই থাকে। আমারও নতুন বছরে প্রত্যাশা বিশ্বব্যাপী করোনার আঘাতে যে অস্থিরতা চলছে, আল্লাহ যেন এই সংকট দূর করে দেন। যাদের আমরা পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছেন তাদের যেন যোগ্য সম্মানের জায়গায় রাখা হয়। আর আমরা যারা বেঁচে আছি তারা যেন সমমনা হয়ে ভালোভাবে ভালোবাসা নিয়ে জীবনযাপন করতে পারি। শুধু আমাদের ইন্ডাস্ট্রি নয়, দেশের সব কর্মক্ষেত্রের সমৃদ্ধি ঘটুক।
শাকিব খান: করোনার কারণে তো চলচ্চিত্র সংকট আরো বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে আস্তে আস্তে বছরের শেষদিকে কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। নতুন বছরে সেই চেষ্টা আরো তরান্বিত করতে চাই। দেশের চলচ্চিত্রে প্রতি আগের চেয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকমানের কিছু চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে নতুন বছরে। সেই লক্ষ্যে এরইমধ্যে কাজও শুরু করেছি। এ বছর নতুন করে বিশ্বের বুকে জায়গা করে নেবে আমাদের চলচ্চিত্র, এই প্রত্যাশা করছি। এ ছাড়া করোনায় আমরা কাছের অনেক মানুষকে হারিয়েছি, যাদের শূন্যস্থান কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তবে চাই তাদের যেন সম্মান যেন ক্ষুন্ন না হয়। নিজেদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে সবাই শান্তিতে যেন বাস করতে পারি এবং ইন্ডাস্ট্রিকে আরো অনেকদূর পৌঁছে দিতে পারি, আল্লাহর কাছে নতুন বছরে এমনই কামনা আমার।
জাকিয়া বারী মম: নতুন বছরে সবার মঙ্গল কামনা করছি। বিগত বছরের সব অশুভকে পেছনে ফেলে জীবনকে সবাই নতুনভাবে রাঙাবেন, এটাই প্রত্যাশা। পাশাপাশি নিজে যেন কারো অমঙ্গলের কারণ না হই, সেই কামনা করছি। ২০২২ সুন্দর ও সুস্থ হোক।
চঞ্চল চৌধুরী: প্রথমে চাই করোনার এই ভয়াবহতা কেটে যাক। ইন্ডাস্ট্রির উত্তরণ ঘটুক। আজকাল নাটক ও সিনেমার মান যেভাবে নিম্নগামী হচ্ছে, সেখান থেকেও পরিত্রাণ আসুক। স্বপ্ন দেখি আমাদের ওয়েব সিরিজ বিশ্ব প্লাটফর্মে জায়গা করে নেবে।
নুসরাত ফারিয়া: চলতি বছর পুরোটা সময় সংকটের ভেতর দিয়ে পার করেছে সারাবিশ্ব। করোনার কারণে মৃত্যুভয় তাড়া করে বেরিয়েছে। নতুন বছরে চাই সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীটা যেন সুস্থ করে দেন। কাজ বন্ধ থাকায় শুধু আমাদের ইন্ডাস্ট্রির মানুষ নয়, সবাই কষ্টে দিন পার করছেন। আশা করছি নতুন বছরে নতুন উদ্যমে আমরা সব শুরু করতে পারব।
আরও পড়ুন
নারী ভক্তের কান্ডে বিস্মিত জায়েদ খান
কাকে ‘কুটনি বুড়ি’ বললেন ন্যানসি, সায় দিলেন কোনাল
মুগ্ধতা ছড়ালেন পরীমণি