October 12, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 8th, 2021, 9:24 pm

৮ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা

বরগুনা: অমাবস্যার জোঁ এর প্রভাবে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত। ছবিটি বুধবার তোলা।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কমছে। এতে ৮ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে এখনও সাত নদীর ১২ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে বইছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের সকল প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও সাত নদীর ১২ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এরমধ্যে পদ্মা নদীর ৪ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এই নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৬১ থেকে কমে ৪৩, সুরেশ্বর পয়েন্টের পানি ৬৪ থেকে কমে ৬০, ভাগ্যকুল পয়েন্টের পানি ২৬ থেকে ১৩ এবং মাওয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ২২ থেকে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে ধলেশ্বরী নদীর দুই পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে, এই নদীর এলাসিন পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৫৬ থেকে কমে ৪০ এবং জাগির পয়েন্টের পানি ২ থেকে বেড়ে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে গড়াই নদীর কামারখালি পয়েন্টের পানি ১০ থেকে কমে ৪, কালিগঙ্গা নদীর তারাঘাট পয়েন্টের পানি ৩২ থেকে কমে ২৬, লক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জ পয়েন্টের পানি ৮ থেকে কমে ৫, আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৪৯ থেকে কমে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তবে মেঘনা নদীর চাঁদপুর পয়েন্টের পানি ৩৬ থেকে ৪৪ এবং তুরাগ নদীর কালিয়াকৈর পয়েন্টের পানি ২১ থেকে বেড়ে ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর ৫ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সুনামগঞ্জ স্টেশনে ১০২ মিলিমিটার। এ ছাড়া ইটখোলা স্টেশনে ৫৮, সিলেটে ৬৬ এবং ভাগ্যকুল স্টেশনে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দেশের উজানে ভারতের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কৈলাশহর স্টেশনে ৫৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া গ্যাংটকে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।