নিজস্ব প্রতিবেদক:
অতিরিক্ত বিমান ভাড়ায় কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৮ মাসে দেশের কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৯৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) একই সময়ে ওই রপ্তানি কমার হার ছিল ২৬ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ওই খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৬২৩ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার। ইপিবি এবং কৃষিপণ্য রপ্তানি খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশ থেকে কৃষিপণ্যের মধ্যে চা, সবজি, মসলা, ফল, শুকনো খাবারের রপ্তানি আয় নিম্নমুখী। ওসব পণ্যে রপ্তানি আয় ১ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। মূলত উচ্চপরিবহন খরচ ও কিছু কোম্পানির কারসাজির কারণে কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় কমেছে। বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে কৃষিপণ্যে রপ্তানি আয় ছিল ৮৫৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত দুই বছর ধরেই কৃষিপণ্যের মধ্যে শুকনো খাবার রপ্তানি হার নিম্নমুখী রয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ শতাংশ কমে আয় হয় ১৬৩ মিলিয়ন ডলার। চলতি বছর একই সময়ে তা ২৪ শতাংশ কমে আয় হয়েছে ১৪৪ মিলিয়ন ডলার। তার মধ্যে চা রপ্তানিতে আয় কমেছে ৮ শতাংশ, সবজিতে ৪৩, ফুলে ৫০ এবং অন্যান্য খাতে ৪৬ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে। সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ ভাড়া বাড়ানোর ফলে রপ্তানিকারকদের পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। ফলে দেশ থেকে আগের মতো মুম্বাই, কলকাতার দামে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশগুলোতে এদেশের কৃষিপণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কলকাতার বিমান ভাড়া কম, অন্যদিকে মুম্বাই থেকে শিপিংয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সবজি যেতে সময় লাগে মাত্র ৩ দিন। কিন্তু এদেশ থেকে যেতে সময় লাগবে ১৫ দিন। এসব কারণে বাংলাদেশ কৃষিপণ্যের মার্কেট হারিয়ে ফেলছে। তবে সুযোগ তৈরি হলে কৃষিপণ্যের রপ্তানি হার আবারো আগের মতো করা সম্ভব। এ বিষয়ে ফল ও সবজি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এদেশের কৃষিপণ্যের রপ্তানি আদেশ কমেনি। কিন্তু তারপরও আয় কমেছে। মূলত উচ্চ পরিবহণ খরচ এবং কিছু মানুষের যোগসাজশ এবং প্রতারণার কারণে এদেশের কৃষিপণ্য খাতের রপ্তানি আয় কমেছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি