দেশের কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় মোছাম্মত সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি।
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সাগরিকার বাড়িতে তাকে দেখতে যান ইউএনও। এ সময় তার পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
ইউএনও রকিবুল হাসান জানান, রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে সাগরিকার বাড়ি। তাদের বাড়ির খুবই জনাজীর্ণ। তাই নতুন করে নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে।
ইউএনও আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে নতুন করে দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথাও হয়েছে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য।
নতুন ঘর পাওয়ার কথা শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলেন সাগিরকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী। তিনি জানান, তার মেয়ের কারণেই তিনি আজ নতুন বাড়ি পাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাণীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতেই সাগরিকার বাড়ি। বাড়ির প্রবেশপথে ছোট একটি দরজা। বাড়িটি কাশবনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ঘর দুইটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বাতার বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। বাড়িতে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ও টিউবওয়েল।
বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বাশরাইল গ্রামের মহাসড়কের পাশে সাগরিকার বাবার চায়ের দোকান। এই দোকান তিনি ও সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম মিলেই পরিচালনা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব আলী ও সোহেল রানা বলেন, সাগরিকারা অন্যের জমিতে কোনো রকমে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন। সাগরিকার জন্য আজ আমাদের গ্রাম রাঙ্গাটুঙ্গি সারা দেশে পরিচিতি পেয়েছে। সাগরিকা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, দেশের সম্পদ। সরকার যদি সাগরিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তাহলে সাগরিকার মতো অনেকে ভালো খেলোয়াড় হওয়ার উৎসাহ পাবেন।
সাগরিকার বাবা বলেন, উকিল নামে এক ব্যক্তির এ জমির কোনো দাবিদার না থাকায় তারা সেখানে বাড়ি বানিয়ে থাকছেন। অর্থের অভাবে জমি কিনতে পারছেন না। তাই সেভাবে বাড়িও বানাতে পারছেন না।
সাগরিকার মা বলেন, তার মেয়ে বন্ধুদের নিয়ে বাড়ি আসতে চান। কিন্তু তিনি নিষেধ করেন। সাগরিকার বন্ধুরা এলে কোথায় বসতে দেবেন, কোথায় থাকতে দেবেন, তাই তিনি তাদের আসতে বারণ করেন। কোনো সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে জমি কেনার চেষ্টা করেছেন। কিন্ত সেটাও সম্ভব হয়নি।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা