অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১৫ মিনিটের সংবাদ সম্মেলন। কত কিছু নিয়েই তো কথা বললেন মাহমুদউল্লাহ। তার সেঞ্চুরি, তার উদযাপন, তার বিশ্রাম কিংবা বাদ, বাইরে থাকার সময়টা, দলের ঘাটতি ও সম্ভাবনা, আরও নানা কিছু। তবু বাকি রয়ে গেল অনেক কিছু। তিনি নিজেই বললেন, আরও অনেক কিছু বলতে চান। তবে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অপেক্ষা করছেন সঠিক সময়ের। এমনিতে অবশ্য মাহমুদউল্লাহর কথা শোনা যাচ্ছিল না অনেক দিন ধরেই। গত মার্চে আয়ারল্যান্ড সিরিজে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়।
এরপর সিরিজের পর সিরিজ তার সেই বিশ্রাম চলতেই থাকে। দীর্ঘ এই সময়টায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও হননি তিনি। কোনো সংবাদ সম্মেলনে আসেননি অবশ্য এর অনেক আগে থেকেই। অনেক নাটকীয়তা ও ঘটনা প্রবাহের পর বিশ্বকাপ দলে তিনি জায়গা পেয়েছেন। তার ব্যাট কথা বলতে শুরু করেছে। নিউ জিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে ৪০ ছোঁয়া দুটি ইনিংসের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মঙ্গলবার উপহার দেন লড়িয়ে এক সেঞ্চুরি। দল বড় ব্যবধানে হেরেছে তার সেঞ্চুরির পরও, তবে বিব্রতকর পরাজয় থেকে দলকে কিছুটা হলেও রক্ষা করেছে এই ইনিংস।
তার ব্যাট কথা বলছে, অবশেষে তার নিজের কথাও শোনা গেল দীর্ঘদিন পর সংবাদ সম্মেলনে আসায়। নানা প্রশ্নের ভিড়ে প্রসঙ্গ উঠল তার দলের বাইরে থাকার সময়টুকুর। তিনি বাদ নাকি বিশ্রাম, এই যে ধোঁয়াশা চলেছে দিনের পর দিন, তাকে নিয়ে নানা টানাপোড়েন, বিশ্বকাপ দলে রাখা নিয়েও কত নাটকীয়তা! মাহমুদউল্লাহ সেই সময়টার নানা অলিগলিতে যেতে চাইলেন না এখনই। তবে সময় হলে যে পর্দার আড়ালের অনেক কিছুই তুলে ধরবেন সবার সামনে, সেটিও জানিয়ে রাখলেন। “আমার মনে হয় ওই সময়টা ভালো ছিলৃ আমি এখন ওই সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না, যদিও আমার অনেক কিছু নিয়ে কথা বলার আছে। সম্ভবত এখন সঠিক সময় নয় সেসব নিয়ে কথা বলার।
শুধু বলতে পারি, দলের জন্য খেলতে চেয়েছি, দলের জন্য অবদান রাখতে চেয়েছি। দলের জয়ে যতটুকু পারি, যদি দলকে জেতাতে পারি, তাহলে আরও ভালো লাগবে।” হতাশার সময়টায় প্রেরণার রসদ পেয়েছেন তিনি সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রেখে। “সম্ভবত আল্লাহ আমাকে সেই শক্তি দিয়েছেন যে চালিয়ে যেতে হবে। চেষ্টা করেছি ফিটনেস ঠিক রাখতে, কষ্ট করতে। এর বাইরে আমার করার কিছু নেই। আমি পরবর্তীতে আরও কিছু জানাব।” বিশ্বকাপের আগে মাহমুদউল্লাহর দলে ফেরা তো বটেই, তামিম ইকবালের দলে না থাকা এবং সেটির প্রক্রিয়া, টি-স্পোর্টস চ্যানেলে সাকিব আল হাসানের বিস্ফোরক ও বিতর্কিত সাক্ষাৎকার, সেসব দলের মনোযোগ কতটা নাড়িয়ে দিয়েছে এবং তা বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সে কতটা প্রভাব ফেলছে, সেই প্রশ্নও উঠল। মাহমুদউল্লাহ আপাতত এড়িয়ে গেলেন এটিও।
“সেসব নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারি না, কারণ সেগুলো বাইরের বিষয়। এ ছাড়া এটা আদর্শ সময়ও নয় সেসব নিয়ে কথা বলার। যেটা ঘটেছে তো ঘটেছেই। আমরা যেটা চেষ্টা করতে পারি বাংলাদেশের জন্য ম্যাচ জিততে। আমরা চেষ্টা করছি। সামনেও কঠোর পরিশ্রম করবো। হয়তো হচ্ছে না। তবে একটা ম্যাচ যদি জিতি, আপনারা ভিন্ন বাংলাদেশকে দেখবেন।” সিরিজের পর সিরিজ তাকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া বা বিশ্রামের নামে বাদ দেওয়া নিয়ে অবশ্য একটু করে বলেছেন যে, ‘বিশ্রাম একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল।” এটুকু থেকে ধারণা করা যায়, তিনি যখন সব খুলে বলবেন, হয়তো খুলে পড়বে অনেক পর্দাও।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা