November 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, August 16th, 2024, 7:49 pm

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছেন মম

অনলাইন ডেস্ক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ। তাই দূরে আছেন ঢালিউড অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে শুটিং শুরু করবেন বলে জানান তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুর আগেই ‘মাস্টার’ নামে একটি নতুন ছবির কাজ শেষ করেছিলেন এ অভিনেত্রী। ছবিটি পরিচালনা করছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। সামাজিক পটভূমিতে রাজনৈতিক যে দৃশ্যপট তৈরি হয়, সেটি নিয়েই এ সিনেমার গল্প। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে মন বিক্ষিপ্ত ছিল। যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই সমর্থন ছিল এ অভিনেত্রীর।

সহশিল্পীদের সঙ্গে ঢাকার রাজপথে নেমেছেন। কখনো ফার্মগেট, কখনো শাহবাগ, আবার কখনো শহিদ মিনারে ছাত্র-জনতার মিছিলে দেখা গেছে জাকিরয়া বারী মমকে। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে আন্দোলন এবং কাজ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। জাকিয়া বারী মম বলেন, গত ১৫ বছরে দেশের বিনোদন জগতের অনেক তারকাকে সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা চোখে পড়ার মতো ছিল।

অনেকে আবার রাজনৈতিকভাবে সুযোগ-সুবিধাও পেয়েছেন। বিভিন্ন সময় এসব নিয়ে কথাও হয়েছে। তাহলে কি শিল্পীরা রাজনীতি করবেন না?-এমন প্রশ্নের উত্তরে এ অভিনেত্রী বলেন, সক্রিয় রাজনীতি শিল্পীদের কাজ নয়। শিল্পী তার শিল্পকর্মের কাজটা ঠিকমতো করবেন। এটাও ঠিক, মানুষ যখন কোনো রাষ্ট্রে বসবাস করেন, তিনি নিরপেক্ষও হতে পারেন না। কোনো না কোনো পক্ষের প্রতি তার সমর্থন থাকে। এটা স্বাভাবিক; কিন্তু সেটা যেন অন্ধের মতো না হয়। রাজনীতির কারণে শিল্পী অন্ধ হলে পথ দেখাবেন কে।

তিনি বলেন, ন্যায়কে ন্যায় আর অন্যায়কে অন্যায় বলার শক্তি থাকতে হবে। সুবিধা নেওয়ার সংস্কৃতির কারণে এটা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। মম বলেন, হ্যাঁ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশের ছোট-বড় সবাইকে একত্র করেছে। একটা পর্যায়ে ছাত্র-জনতা মিলে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। এখন নতুন স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘দেশের অবস্থা কোন দিকে যাবে, তা এত তাড়াতাড়ি বলা যাবে না। কী হবে, দেখি। বড় একটা ঘটনা ঘটাল ছাত্ররা। এখন বড়রা মিলে কী করেন, দেখতে হবে তো।’

তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ পাওয়া যাবে, পাচার হওয়া সব টাকা দেশে ফিরবে, ব্যাংকিং খাত ঘুরে দাঁড়াবে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমবে-এমনটাই চাওয়া। মম বলেন, ‘আন্দোলনের মাঝে মনকে অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এজন্য ছবি দেখার চেষ্টা করেছি। হারাজা’ ও ‘লভিস’-দুটি সিনেমা দেখেছি। তিনি বলেন, ‘মহারাজা’ লে একটা সিনেমার রিভিউ শুনে আমিও দেখার চেষ্টা করলাম; কিন্তু আমার কাছে সিনেমাটা ভালো লাগেনি। এত নৃশংসতা আমার ভালো লাগে না। এলভিস প্রিসলিকে নিয়ে ছবিটা দেখে মনটা ভরে গেছে। খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি।’