অনলাইন ডেস্ক :
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে আরও নিরাপদ করতে ভারতীয় নৌবাহিনী ইতিবাচক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান চিফ এডমিরাল আর হরি কুমার। আর এই তৎপরতার অংশ হিসেবে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে অপহৃত বাংলাদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
রোববার (২৪ মার্চ) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নবনির্মিত নৌসেনা ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এডমিরাল আর হরি কুমার এই তথ্য জানান। খবর এনডিটিভির। এডমিরাল কুমার বলেন, ‘আপনারা যেমনটা জানেন, এমভি আবদুল্লাহ নামের একটি জাহাজ অপহরণ করে সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাই আমরা এখন এটির ওপর সতর্ক নজর রাখছি। আবদুল্লাহকে এখন জলদস্যু জাহাজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে নাকি অন্য কোনো জাহাজ ছিনতাইয়ের জন্য জলদস্যুদের ‘মাদার শিপ’ হিসেবে ব্যবহার করা হবে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
এখন সোমালি জলসীমায় চলাচলকারী জাহাজগুলোর ওপর আরও ঘনিষ্ঠ নজরদারি বজায় রাখতে চলেছি আমরা।’ গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে ১২ মার্চ দুপুরে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ জাহাজটি ছিনতাই করেছে সোমালি জলদস্যুরা। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার।
এদিকে, গত শনিবার বিবিসি সোমালির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলদস্যুরা যাতে সংগঠিত হতে না পারে এবং স্থলভাগ থেকে কোনো সাহায্য না পায় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে সোমালি পুলিশ। আর জাহাজের ওপাশে সমুদ্রে আন্তর্জাতিক বাহিনীর ঘেরাও রয়েছে। প্রতিবেদনে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড পুলিশের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুফের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘এমভি আবদুল্লাহ এখন আছে জিফলের উপকূলীয় এলাকায়। জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়।’
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২