নিজস্ব প্রতিবেদক:
বখাটে আশিক প্রায়ই অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করতো। নিজে একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই-চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে গত সোমবার রাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব অধিনায়ক বলেন, ধর্ষণের ঘটনা জানাজানির পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় আশিক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকার তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে সে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, তার বড় ভাই ফারুক গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও দুই কোটি টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার আরেক ভাই কামরুলের বিরুদ্ধেও ছিনতাই-মাদকসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আশিক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। লে. কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার বলেন, কক্সবাজারে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য র্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কিছু অপরাধীর কারণে কক্সবাজারের সুনাম নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আশিক ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি আশিকের বড় ভাই মো. কামরুল এবং মমস গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহীন। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত আশিকসহ তিন-চারজন যুবক জোর করে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে মমস গেস্ট হাউজে দুদিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে আশিক। ১৫ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বাড়ির সামনে রাস্তায় রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে ১৮ ডিসেম্বর কক্সবাজার মডেল থানায় মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। বিষয়টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৫। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন আশিকের বড় ভাই মো. কামরুল (৩৪), তার মা রাজিয়া বেগম (৫৫), বাবা নজরুল ইসলাম (৬০) ও শহরের ঝাউতলা গাড়ির মাঠ এলাকার মো. হায়দার ওরফে হায়দার মেম্বারের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৪০)।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি