অনলাইন ডেস্ক :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করার পর লাঠিপেটা করে পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ সময় অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। রোববার চতুর্থ দিনের মতো তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে, খবর বিডি নিউজ ২৪ ডটকমের।
সরেজমিনে জানা গেছে, রোববারও ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে গোলচত্বরের পাশে এক কিলোমিটার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যানবাহন চলাচলও করতে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষ করে উপাচার্য রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বের হয়ে বাসভবনে যাওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা তাকে ওয়াজেদ মিয়া আিইসিটি ভবনে আশ্রয় নেন।
বিকাল ৪টার দিকে উপাচার্যকে মুক্ত করতে আইসিটি ভবনের সামনে পুলিশ উপস্থিত হয়। এসময় ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব চাইসহ’ নানা ধরনের স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, শিক্ষার্থীরা পুলিশের উপর উত্তেজিত হয়। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২