অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়া থেকে বিতাড়িত হওয়ার কষ্ট, কোভিড-১৯ এর টিকা না নেওয়ায় কড়া সমালোচনা এবং সুদীর্ঘ কয়েক সপ্তাহের কঠিন সময় পেরিয়ে অবশেষে কোর্টে ফিরেছেন নোভাক জোকোভিচ। ফেরার ম্যাচে দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপে ইটালিয়ান লরেন্সো মুসেত্তিকে সহজেই হারিয়েছেন সার্ব তারকা। নিন্দুকেরা সমালোচনায় মুখর থাকলেও ভক্তদের মাঝে অবশ্য তিনি আগের জোকোভিচই আছেন। সোমবার রাতে সরাসরি সেটে জয়ের পথে প্রথম সেটে যখন ৩-২ গেমে এগিয়ে ছিলেন তখন কিছুটা সময়ের জন্য ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তিনি। তবে কখনোই তার জয় নিয়ে শঙ্কা জাগেনি। পুরোটা সময়ই ভক্তদের ভালোবাসা আর উৎসাহ সঙ্গী ছিল জোকোভিচের। কারো কারো হাতে ছিল সার্বিয়ার পতাকা আর কারো কণ্ঠে ছিল ‘জোকোভিচ, জোকোভিচ’ চিৎকার। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৬-৩, ৬-৩ গেমে জেতেন এখানে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। জোকোভিচের জীবনে গত মাস ছিল হয়তো সবচেয়ে কঠিন সময়ের একটা অধ্যায়। করোনাভাইরাস টিকা না নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের খেলার অনুমতি পাওয়ার কথা ছিল না তার। কিন্তু প্রতিযোগিতাটির কর্তৃপক্ষ তার জন্য ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন ২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী। এরপরই শুরু হয় নাটকীয়তা। অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতিবাদের মুখে দেশটির সরকার তার ভিসা বাতিল করলে আপিল করেন জোকোভিচ। আদালত তার পক্ষে রায় দিলে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামটিতে খেলার আশা জাগে ৩৪ বছর বয়সী তারকার। তবে পরে দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতা বলে ফের ভিসা বাতিল করেন। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার করা আপিল খারিজ হয়ে যায়। ফলে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে বাধ্য হন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রেকর্ড ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন। ১১ দিনের সমস্যা জর্জরিত সময় জোকোভিচের মনোবল অবশ্য ভাঙতে পারেনি। তিনি আগের মতোই টিকার বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অটল আছেন। এটিপির নিয়ম অনুযায়ী, টিকা না নিলে খেলতে পারবেন না কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামে। তাতে আসছে ফরাসি ওপেন এবং মহামারীর পরিস্থিতি ভালো না হলে উইম্বলডনেও তার অংশ নেওয়া হুমকিতে পড়তে পারে। তারপরও টিকা নিতে নারাজ জোকোভিচ।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা