September 22, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 6th, 2023, 8:03 pm

অবশেষে বাজলো তিশার গান

অনলাইন ডেস্ক :

অভিনেত্রী হিসেবে তিনি খ্যাত, পরিচিত। বলতে গেলে, একবিংশ শতকে ঢাকাই শোবিজে যে’কজন অভিনেত্রী গল্পে-চরিত্রে বারংবার নিজেকেই ছাপিয়ে গেছেন, অন্য অনেকের মাপকাঠিতে পরিণত হয়েছেন, তাদেরই একজন নুসরাত ইমরোজ তিশা। সেই তিশাই হঠাৎ আবির্ভূত হলেন গায়িকা হিসেবে। তাও শখের বশে কোনও কাভার সং নয়, একেবারে আনুষ্ঠানিকভাবে মৌলিক গান। যেটার শিরোনাম ‘অটোবায়োগ্রাফি’। মঙ্গলবার রাতে এটি প্রকাশ হয়েছে অন্তর্জালের নানা শাখায়। গানের নাম শুনেই কেউ কেউ আঁচ করে ফেলেছেন মূল প্রসঙ্গ।

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তিশার নতুন ছবি ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র জন্যই বানানো হয়েছে গানটি। যদিও এটি মূল সিনেমায় নেই। তাই আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। ইশতিয়াক আহমেদের কথায় গানটির সুর-সংগীত করেছেন পাভেল অরিন। কণ্ঠের পাশাপাশি এর দৃশ্যায়নেও দেখা মিলেছে তিশাকে। যেহেতু তিশাকে পর্দায়, অভিনয়ে হরহামেশাই দেখা যায়।

সুতরাং মূল প্রসঙ্গ আপাতত তার কণ্ঠ। কী ভেবে নীরবতা ভাঙলেন, আর অভিজ্ঞতাই বা কেমন হলো; সেসব জানতে সংবাদমাধ্যমকে যোগাযোগ করে তিশার সঙ্গে। তার আগে একটি ছোট্ট তথ্য যোগ করা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে মূলত গান করতেন তিশা। গানে তার দখল, স্বীকৃতিও ছিল বেশ। বিটিভির ‘নতুন কুঁড়ি’র শৈশব পেরিয়ে তারুণ্যে গড়েছেন একটি ব্যান্ডও। ‘অ্যাঞ্জেল ফোর’ নামের সেই ব্যান্ডের সদস্য হলো চার বন্ধু- তিশা, রুমানা, কণা ও নাফিজা (প্রয়াত)। প্রকাশ হয়েছে তাদের অ্যালবামও। এরপর শখের বশেই অভিনয়ে পা রাখেন। আর এটাই হয়ে যায় তার মূল পেশা।

এবার শোনা যাক গান প্রসঙ্গে তিশার মন্তব্য, ‘আমি গান করতাম, ইনফ্যাক্ট গান গেয়ে জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কারও পেয়েছি। এটা অনেকেই জানেন। তবে অভিনয় ব্যস্ততায় দীর্ঘ সময় গান করা হয়নি। প্রায় ১৫ বছর পর এই গানটি গাইলাম।’ গান গাওয়ার ক্ষেত্রে দেড় দশকের বিরতি ভাঙার পেছনে ভাবনাটা কেমন ছিল তাহলে? অভিনেত্রীর জবাব, “আসলে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ আমার আর সরয়ারের খুব ব্যক্তিগত একটা ছবি। তো যখন এই গানটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, লেখা-সুর হলো; শোনার পর আমার কাছে মনে হয়েছে, গানটি আমি ভালো গাইতে পারবো। সেই সুবাদে গাওয়া। নিজের আত্মবিশ্বাস ছিল যে, মানুষের ভালো লাগবে। এখন প্রকাশের পর দেখছি, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ভালোবাসা পাচ্ছি।”

গান নিয়ে তো দূর, কোনও বিষয়েই আগাম চিন্তা করতে চান না তিশা। কারণ তিনি মনে করেন, জীবন অনিশ্চিত। সুতরাং ভবিষ্যতে আবার কবে গান করবেন, এ নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না। উল্লেখ্য, ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এর গল্প-চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন তিনি ও তিশা যৌথভাবে। এর বিষয়বস্তুতেও আছে তাদের বাস্তব জীবনের নির্যাস। আবার তাদের একমাত্র কন্যা ইলহামও রয়েছে অভিনয়ে। ফলে এটি ফারুকী-তিশা দম্পতির জীবনের সবচেয়ে কাছের এবং গুরুত্বপূর্ণ ছবি বটে। এছাড়া ছবিটিতে আছেন শরাফ আহমেদ জীবন, ডিপজল, ডলি জহুর প্রমুখ। এটি দেখা যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি-তে।