April 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, March 14th, 2023, 8:13 pm

অবশেষে মুস্তাফিজের ‘সেঞ্চুরি’

অনলাইন ডেস্ক :

গত বছরের জুলাইয়ে নব্বইয়ের ঘরে পা রাখেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেখান থেকে তিন অঙ্কে ঢোকার পথটা যেন শেষই হচ্ছিল না বাঁহাতি পেসারের। মাঝে কেটে গেছে প্রায় ৮ মাস, খেলেছেন ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অবশেষে পেলেন কাক্সিক্ষত মাইলফলকের স্বাদ। শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দাভিদ মালানকে কট বিহাইন্ড করে এই সংস্করণে নিজের শততম উইকেট নিলেন মুস্তাফিজ। সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বিশ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের সেঞ্চুরি করলেন ২৭ বছর বয়সী পেসার। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের ৮ বছরের মাথায় ৮১ ম্যাচ খেলে এই ক্লাবে নাম লেখালেন মুস্তাফিজ। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার, ৫ উইকেট ১ বার। ২০১৬ বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে ৫ উইকেট সেরা বোলিং। এই সংস্করণের একশ উইকেট পেতে মুস্তাফিজের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে সাকিব ও টিম সাউদিকে। দুজনই খেলেন ৮৪টি করে ম্যাচ। সবচেয়ে কম ৫৩ ম্যাচে ১০০ উইকেট নেন রশিদ খান। এ ছাড়া লাসিথ মালিঙ্গা ৭৬ ও ইশ সোধির লাগে ৭৮টি ম্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৪ উইকেট নিয়েছেন সাউদি। চলতি ম্যাচের আগে সাকিবের শিকার ১৩০ উইকেট। এই তালিকার পরের তিন জন রশিদ (১২৬), সোধি (১১৪) ও মালিঙ্গা (১০৭)। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মুস্তাফিজের কাটার ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য এক গোলকধাঁধার নাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকে কাটার-স্লোয়ারের জাদুতে প্রতিপক্ষের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। সেদিন ২০ রান খরচায় ফেরান শাহিদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজকে। ক্যারিয়ারে প্রথম ৫০ উইকেট পেতে তার লেগেছিল ¯্রফে ৩৩ ম্যাচ। এরপর কাঁধের চোটে কাটারের ব্যবহার অনেকটা কমাতে বাধ্য হন বাঁহাতি পেসার। পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং নিয়ে কাঁটাছেড়াও হয় বিস্তর। যার ফলে কমতে থাকে মুস্তাফিজের কার্যকরিতা। সাম্প্রতিক সময়ে উইকেটের জন্য হাপিত্যেশ করাও এরই প্রমাণ। পরের পঞ্চাশ উইকেট পেতে তার লাগল ৪৮ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শুধু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দশের বেশি ইনিংস বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন মুস্তাফিজ। তার সবচেয়ে বেশি ২৪ উইকেটও এই দলের বিপক্ষে। এছাড়া দশের বেশি উইকেট নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৯ ইনিংসে ১৫), নিউ জিল্যান্ড (৮ ইনিংসে ১৪) ও শ্রীলঙ্কার (৯ ইনিংসে ১২) বিপক্ষে। অন্তত এক ইনিংস বল করেও উইকেটশূন্য থাকা দুই প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও পাপুয়া নিউ গিনি। মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ২৮ উইকেট এসেছে ২০২১ সালে, ২০ ম্যাচে। বিশের বেশি উইকেট নিয়েছেন ২০১৮ সালেও (১৩ ম্যাচে ২১ উইকেট)। একশ উইকেটের মধ্যে দেশের হোম অব ক্রিকেটে মুস্তাফিজের শিকার ৪০ উইকেট। এই সংস্করণে নির্দিষ্ট কোনো মাঠে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড এটি (যেখানে তার সঙ্গী সাকিব আল হাসান)। এখন পর্যন্ত এই সংস্করণে ৬টি মেইডেন ওভার করেছেন মুস্তাফিজ। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে যুগ্মভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ মেইডেনের রেকর্ড এটি। একটি হতাশাজনক রেকর্ডেও আছে মুস্তাফিজের নাম। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২২ রানে ৫ উইকেট দুটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যকার ম্যাচে পরাজিত দলে থাকা বোলারের সেরা বোলিং। সেদিন মুস্তাফিজের দারুণ বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডকে ১৪৫ রানে আটকে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তারা গুটিয়ে যায় ¯্রফে ৭০ রানে।