অনলাইন ডেস্ক :
অবশেষে লকডাউনকে বিদায় জানানো গেছেÑএমনটাই আশা করছে অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্ন লকডাউন শেষে পুনরায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। মেলবোর্নের ৫০ লাখের বেশি বাসিন্দার কাছে লকডাউন উঠে যাওয়া যেন নতুন করে মুক্তির স্বাদ পাওয়া। সেভাবেই নিজেদের মতো করে উদ্যাপনে মেতেছে মেলবোর্নবাসী। কেউ ক্যাফেতে যাচ্ছে, কেউ আবার অনেক দিন পর সুযোগ পেয়ে স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছেন। কোভিড মহামারি চলাকালীন ছয় দফা লকডাউনে ২৬০ দিনের বেশি সময় বিধিনিষেধে কেটেছে মেলবার্নবাসীর। যে কারণে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দিন লকডাউনে থাকা শহর’ তকমা পেয়েছে ভিক্টোরিয়া প্রদেশের এই রাজধানী। মেলবোর্ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেÑপ্রদেশের ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের ৭০ শতাংশকে পুরোপুরি কোভিড টিকাকরণের আওতায় আনার পর শহরটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর মেলবোর্নবাসীকে পানশালায় উদযাপন করতে এবং রাস্তায় উল্লাস করতে দেখা গেছে। দফায় দফায় লকডাউন দেওয়ার সমালোচনা হলেও, করোনাকালে অস্ট্রেলিয়ার গৃহীত কঠোর বিধিনিষেধের পদক্ষেপের কারণে অনেক প্রাণহানি ঠেকানো গেছে। করোনার মহামারিতে অস্ট্রেলিয়ায় এক হাজার ৫৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা বেশির ভাগ উন্নত দেশের তুলনায় অনেক কম। এ বছরের জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলোতে করোনার ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লেও দেশটির প্রায় অর্ধেক জনপদ ভাইরাসমুক্ত রয়ে যায়। মেলবোর্ন ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ক্যানবেরাও বাসিন্দদের বহুলাংশে টিকাকরণের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি দীর্ঘ লকডাউন থেকে মুক্ত হয়েছে। তবে, লকডাউনমুক্ত শহরগুলোতে কেবল টিকা নেওয়া লোকজনই কোভিড বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকছেন। যে কারণে মেলবোর্নের বাসিন্দাদের মধ্যে যারা টিকাকরণের আওতায় আসেনি, তারা আগামী বছরের আগপর্যন্ত কোভিড বিধিনিষেধমুক্ত হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ভিক্টোরিয়া প্রদেশের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা ‘প্রিমিয়ার’ ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ।
আরও পড়ুন
সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে সাহায্যে সম্মত জাতিসংঘ সংস্থা: যুক্তরাষ্ট্র
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বারোপ করেছে জি-৭
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় মেরিনা তাবাসসুম