অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিতর্ক সঙ্গী ছিল আফগানিস্তানের। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন রশিদ খান। এবার টুর্নামেন্টের মাঝপথে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক আফগান অধিনায়ক আসগর আফগান। তাও আবার সব ফরম্যাট থেকে। সুপার টুয়েলভে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জেতা ম্যাচটিতে সুযোগ হয়নি আফগানের। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচটিতে সুযোগ হলেও ৭ বলে করেছেন ১০ রান। এই অবস্থায় রোববার নামিবিয়ার বিপক্ষে সুযোগ হলে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে পারবেন ৩৩ বছর বয়সী! ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক করা আফগান ওয়ানডে খেলেছেন ১১৪টি। ২৪.৭৩ গড় ও ৬৬.৭৭ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ২ হাজার ৪২৪ রান। আফগানিস্তানের উদ্বোধনী টেস্টেরও অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ৬ টেস্টে তার সংগ্রহ ৪৪০ রান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিঃসন্দেহেই সেরা অধিনায়কের কাতারে থাকবেন আসগর। রেকর্ডই বলছে সে কথা। এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা অধিনায়ক। আসগরের নেতৃত্বে আফগানিস্তান ৪২টি ম্যাচ জিতেছে। সেখানে ধোনির অধীনে ভারত জিতেছে ৪১টি। অথচ সেরা অধিনায়ক হওয়ার পরেও নেতৃত্ব নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বেশি। ২০১৯ সালের মে মাসে তার কাছ থেকে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয় বোর্ড। এর বদলে বোর্ড ফরম্যাট ভিত্তিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার পথে হাঁটে। টেস্টের দায়িত্বে রহমত শাহ, গুলবাদিন নাইবকে ওয়ানডে ও রশিদ খানকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিশ্বকাপের পর আবার নাইব-রহমতকে সরিয়ে রশিদ খানকে একক নেতৃত্ব দায়িত্ব দেওয়া হয়। নাটকীয়ভাবে একমাস পর এই সিদ্ধান্তেও বদল আনে আফগান ক্রিকেট বোর্ড।। পুনরায় তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া হয় আসগর আফগানকে। পুনরায় এই নেতৃত্বভার টিকেছিল মাত্র ১৫ মাস। এরপর বোর্ড আবারও বেছে নেয় ফরম্যাট ভিত্তিক নেতৃত্ব। আফগানের সিদ্ধান্ত দেশটির ক্রিকেট বোর্ড সহজভাবে গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ক্রিকেটে তার ভূমিকার কারণে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা