অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানী মিরপুরের শাহ আলী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ূন কবিরকে (৪৪) হত্যা করে ফজিলাতুন্নেছা রিয়া থেকে হয়ে যান সুহাসিনী অধরা (২৯)। এরপর গত দশ বছর নিজের নামে কাগজপত্র সব পরিবর্তন করে হয়ে যান মডেল ও অভিনেত্রী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কথিত সেই মডেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গত বৃহস্পতিবার রাতে মেরুল বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি জানান, অধরার আসল নাম ফজিলাতুন্নেসা রিয়া। পরিচয় পরিবর্তন করে তিনি মডেল হয়েছিলেন। নতুন নাম হয় সুহাসিনী অধরা। র্যাব কর্মকর্তা জানান, তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়। র্যাব জানায়, ২০১৩ সালে মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের ১০৫০/৩ কাঁঠালতলার একটি ভবন থেকে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হুমায়ূন কবিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরে বিষক্রিয়া ইনজেকশন দিয়ে ও শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফজিলাতুন্নেছা ও তাঁর স্বামী রাফা-এ-মিষ্টি। তাঁর স্বামী এই হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি। তাঁকে গত বছর গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। কথিত এই মডেল তাঁর স্বামীসহ হুমায়ূন কবিরের বাসায় সাবলেট থাকতেন। ২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে ছোট ও বড় পর্দায় নিজের নাম লেখান। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ফজিলাতুন্নেছা রিয়া থেকে কৌশলে সুহাসিনী অধরা করেন। নিজেকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। বসবাস শুরু করেন, রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’