নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরুর প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে স্টল নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরুও হয়েছে। আগ্রহী প্রকাশক ও বিক্রেতারা প্যাভিলিয়ন, ছোট ও বড় স্টল নেওয়ার জন্য টাকা জমা দেওয়া শুরু করেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে স্টল বরাদ্দ প্রদান করবেন বলে জাানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এদিকে গত ১ জানুয়ারি থেকে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওযায় গত বছরের মতো এ বছরও বইমেলায় অংশগ্রহণেচ্ছু প্রকাশকরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কয়েকজন প্রকাশক বলেছেন, সংক্রমণ বেশি বাড়লে মেলা হবে কি না, হলেও জমবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বইমেলায় অনেকে আসবেন না।
এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানান। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারী) সরেজমিন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের মতো এবারও একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল আয়তন জুড়ে মেলার অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। উদ্যানের পূর্ব ও পশ্চিম এবং দক্ষিণ দিকে শ্রমিকরা মাটি খুঁড়ে বাঁশের খুটি গেঁড়ে ছোট ও বড় স্টলের ফ্রেম তৈরি করছে। গোটা উদ্যান জুড়ে বৃহৎ কর্মযজ্ঞ চলছে। দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃুত্য হয়। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৩১ জন করোনা রোগী শনাক্ত ও ২৮ হাজার ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর করোনার কারণে বইমেলা দেড় মাস পিছিয়ে ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয় এবং নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগে, ১২ এপ্রিল তা শেষ হয়ে যায়। এবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলা শুরুর টার্গেট করলেও শেষ পর্যন্ত করোনার কারণে তা পিছিয়ে পড়ে কি না বা পিছিয়ে পড়লে কতদিন পেছাতে পারে, তা নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা চলছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম