November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, May 19th, 2023, 9:27 pm

অর্থবছর শেষ হতে চললেও এডিপি বাস্তবায়ন অর্ধেক

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি অর্থবছর শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র অর্ধেক বাস্তবায়িত হয়েছে। অর্থবছর শেষ হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি। ওই সময়ে এডিপির বাকি অংশ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় রয়েছে। গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অব্যায়িত রয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। এডিপি বাস্তবায়ন সন্তোষজনক না হলে কর্মসংস্থান কমবে এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। তাছাড়া পরবর্তী সময়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ব্যয় বেড়ে যাবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ৫৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। একক মাসের হিসেবে গত এপ্রিলে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের সময়ে ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। এপ্রিলে ব্যয় হয়েছে এডিপির ২০ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই মাসে এই ব্যয় ছিল ২০ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর ১ হাজার ৬৮৩ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু ওসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গতি আশারূপ না হওয়ায় সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) বড় অঙ্কের কাটছাঁট হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনায় আরএডিপির আকার দাঁড়ায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। যদিও মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩৩ শতাংশ। আর নৌপরিবহন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন ৩৭ শতাংশ। অথচ ওই ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গড় বাস্তবায়নের হার ৫১ শতাংশেরও বেশি। মূলত সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন নীতির কারণে এডিপির বাস্তবায়নের গতি কিছুটা কমে এসেছে। তবে অর্থ সংকট ছিল না এমন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতিও আশানুরূপ নয়। অগ্রাধিকার পাওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নেও একই চিত্র। নির্ধারিত সময়ে ব্যয় করতে না পারায় বিদেশি ঋণের অর্থছাড় কমে গেছে। একই কারণে উন্নয়ন সহযোগীরা আগামীতে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কমিয়ে দিয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এর কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণ সম্পর্কে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, সরকারের সাশ্রয় পরিকল্পনার কারণেই মূলত এবার অর্থ ব্যয় কম হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশ সফর, গাড়ি কেনা ও প্রশিক্ষণ বাবদ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে সার্বিক ব্যয় কিছুটা কম হয়েছে।