September 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, September 5th, 2023, 7:00 pm

অর্থমন্ত্রী নীরব, এস আলমের তদন্ত অব্যাহত রাখতে হবে: সংসদে চুন্নু

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে সংসদে নীরব আখ্যা দিয়েছেন। সোমবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই আখ্যা দেন।

তিনি বলেন, আমরা বারবার অর্থমন্ত্রীকে বলেছি বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে, ব্যবস্থা নিন। ‘কিন্তু অর্থমন্ত্রী একজন নীরব ব্যক্তি, তিনি কথা বলেন না। অর্থপাচারের বিষয়ে তিনি সংসদে বিবৃতি দেননি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করা হয় না। আমি জানি না দেশ কীভাবে চলবে।’

চুন্নু বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বেশির ভাগ কথাই বলেন। দেশের অর্থনীতি এখন ভালো যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘এখানে ডলারের সংকট রয়েছে। সরকার ব্যবসা করতে গিয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে। রিজার্ভ সমস্যা আছে। রেমিট্যান্স কমছে। আমরা খবরের কাগজে দেখি যে অর্থ পাচার করা হচ্ছে।’

জাপা সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির এই প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য অর্থ পাচারের প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের মালিক একজন বড় ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে।

চুন্নু আরও বলেন, ‘এক বিলিয়ন ডলার খরচ করে তিনি অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সিঙ্গাপুরে মার্কেট ও হোটেল করেছে।’
আর কোন সন্দেহ নেই যে রেফারেন্সটি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের, যাকে নিয়ে সম্প্রতি ডেইলি স্টার একটি বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

চুন্নু বলেন, তার বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

‘আমি জানি না এটা সত্যি কিনা, যদি হয়, তাহলে এটা রাষ্ট্র বিরোধী-দেশদ্রোহ। হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। পরে আপিল বিভাগের আদেশে তদন্ত স্থগিত করা হয়।’

সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে চুন্নু বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানান।

তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি অর্থমন্ত্রীকে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করার নির্দেশ দিন। কোন বাংলাদেশি সেখানে গিয়ে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে কিনা।’

তিনি বলেন, আজকাল কোনো কৃষক ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করলে পরোয়ানা জারি করা হয়।

চুন্নু বলেন, ‘আমরা কৃষকদের সুদ মওকুফের সুপারিশ করলেও তা মানা হয় না। কিন্তু আমি দেখেছি যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন পর্যবেক্ষকের আপত্তি সত্ত্বেও নাসা গ্রুপের জন্য ২৫২ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করা হয়েছে।’

—-ইউএনবি