ঘুষ লেনদেনের মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের তিন বছরের সাজা হলেও অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে খালাসের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত এ মামলার নথি তলব করেছেন। সাজার বিরুদ্ধে তার করা আপিলসহ দুটি আপিল একসঙ্গে শুনানি হবে। এছাড়া দুদককে চার মাসের মধ্যে পেপার বুক প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে অধস্তন আদালত ডিআইজি মিজানকে খালাস দিয়েছিলেন। পরে ওই অভিযোগে সাজা চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করি। হাইকোর্ট রবিবার দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন।
তিনি জানান, অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে খন্দকার এনামুল বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু এ ধারায় মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপিলে সাজা চাওয়া হয়েছে।
একটি মামলা থেকে বাঁচার আশায় দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। পরে তাদের দুজনকেই বরখাস্ত করা হয়।
ওই মামলার রায়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম দুইজনকে সাজা দেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
বিজিপিসহ ২৮৮ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে
সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি গঠন