অনলাইন ডেস্ক :
ম্যাচের প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্যের পর দ্বিতীয় ভাগেও কিছুটা সময় চাপ ধরে রাখল ইন্টার মিলান। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় কাক্সিক্ষত জালের দেখা তারা পেল না। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে শেষ ভাগে জ¦লে ওঠা রিয়াল মাদ্রিদ অন্তিম সময়ের গোলে তুলে নিল অসাধারণ এক জয়। সান সিরোয় বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। জমজমাট লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দেন বদলি নামা রদ্রিগো। টানা তিন আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার হতাশা পেছনে ফেলার ঘোষণা দেওয়া সিমোনো ইনজাগির দল বিরতির আগে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয়। এ সময় গোলের উদ্দেশে তারা ১৪টি শট নেয়, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে। ইন্টারের আক্রমণে একরকম কোণঠাসাই ছিল রিয়াল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। এই অর্ধে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য করে রিয়াল। প্রথমার্ধে পাঁচটি শট নেওয়া দলটি এইভাগে নেয় আরও সাতটি, এর দুটি ছিল লক্ষ্যে। ম্যাচের প্রথমার্ধে একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে ইন্টার। প্রথম সুযোগও পায় তারা। নবম মিনিটে এদিন জেকোর শট পা বাড়িয়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া। এরপর কর্নারে ইন্টার ডিফেন্ডারের হেড ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। ১০ মিনিট পর ইন্টারকে এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হারান লাউতারো মার্তিনেস। দারুণ পজিশনে বল পেয়েও কোর্তায়ার নাগালের মধ্যে হেড করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ঠেকাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি রিয়াল গোলরক্ষককে। বল দখলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল পাল্টা আক্রমণে ২৭তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত। তবে ভাসকেস প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর ওই আক্রমণেই ডান দিক থেকে দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান লুকা মদ্রিচ। কিন্তু বল পায়ে পেয়েও লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি করিম বেনজেমা। আট মিনিট পর কর্নারে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন এদের মিলিতাও। প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটে রিয়ালের রক্ষণের। ৩৭তম মিনিটে মার্সেলো ব্রুজোভিচের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে বেঁচে যায় রিয়াল। এক মিনিট পর মার্তিনেসের শটও বাইরে যায়। বিরতির তিন মিনিট আগে জেকোর জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে আবারও রিয়ালের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় স্বাগতিকরা। জেকোর জোরালো হেড দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে দলকে বাঁচান কোর্তোয়া। তারপরও বল গোলমুখেই ছিল কিছুক্ষণ, কিন্তু জটলার মধ্যে সুবিধা করতে পারেনি তারা। তিন মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে ডান দিক থেকে লুকাস ভাসকেসের শট ফেরান ইন্টার গোলরক্ষক। ৭২তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে দারুণ একটি আক্রমণ শানায় ভিনিসিউস জুনিয়র। গতিতে ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে বাইলাইন থেকে কাটব্যাকের চেষ্টা করেন তিনি। কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ছয় মিনিট ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন বেনজেমা। ফিনিশিংয়ে দুই দলেরই হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল ম্যাচ। একরকম যেন আচমকাই ৮৯তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন রদ্রিগো। সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে কামাভিঙ্গা আলতো ভলিতে ডান পাশে বাড়ান রদ্রিগোকে। বদলি নামা এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডও আরেক ভলিতে দলকে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসান। গ্রুপের আরেক ম্যাচে মলডোভার ক্লাব শেরিফ তিরাসপুলের মাঠে ২-০ গোলে হেরে গেছে ইউক্রেনের শাখতার দোনেৎস্ক।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা