অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি অসুস্থ হয়ে পড়ায় একটি শুনানি বাতিল হয়েছে। জান্তা সরকারের একটি আদালতে বিলম্বিত ওই শুনানির সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে সোমবার তার আইনজীবী জানিয়েছেন। এই শুনানি আরও আগে হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। এরপরেই সু চিসহ বেসামরিক সরকারের আরও কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, বেসামরিক সরকারের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বর্বর অভিযান চালিয়েছে সামরিক জান্তা সরকার। দেশের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর গ্রহণ করার এক সপ্তাহ পর থেকেই ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দলে দলে সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামে। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভেও দমন-পীড়ন চালিয়েছে মিয়ানমার সেনারা। এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ৭৬ বছর বয়সী অং সান সুচির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে এক দশকের বেশি সময় কারাভোগ করতে হতে পারে। গত বছরের নির্বাচনে জয়ী হয় সু চির দল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, নির্বাচনের সময় তিনি করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন এবং অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি আমদানি করেছেন। দুই মাসের বিরতির পর সোমবার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তার আইনজীবী মিন মিন সোয়ে জানিয়েছেন, প্রি-হিয়ারিং মিটিংয়ের পরপরই তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে গেছেন। তিনি বলেন, গত দুই মাসে সু চি গাড়িতে করে কোথাও যাননি। ফলে হঠাৎ করেই ঘর থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠার পর থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। সম্পূর্ণ বিশ্রামের জন্য তাকে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে। সু চির এই আইনজীবী বলেন, তার স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সত্যিই খুব উৎকণ্ঠায় আছি।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২