অনলাইন ডেস্ক :
খারাপ সময় পেছনে ফেলে দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলেছেন স্টিভেন স্মিথ। এর স্বীকৃতিও পেলেন নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ড থেকে। টানা দ্বিতীয় বছর জিতলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার অ্যালান বোর্ডার মেডেল। কিপার-ব্যাটার বেথ মুনিও পরপর দুই বছর জিতলেন নারী ক্রিকেটের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার বেলিন্ডা ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড। সিডনিতে সোমবার জমকালো ‘অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। খেলোয়াড়, আম্পায়ার ও সংবাদ মাধ্যমের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে বিজয়ীরা। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো অ্যালান বোর্ডার মেডেল জিতলেন স্মিথ। এর আগে ২০১৫, ২০১৮ ও ২০২১ সালে এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্কের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে চারবার এই মেডেল পেলেন স্মিথ। ২০০০ সালে এই পুরস্কার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ চার বারের বেশি এই সাফল্য পায়নি। ১৭১ ভোট পেয়ে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন স্মিথ। পেছনে ফেলেছেন ট্রাভিস হেড (১৪৪ ভোট) ও ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৪১ ভোট)। সেরা পাঁচে আরও ছিলেন মার্নাস লাবুশেন (১৩৮) ও উসমান খাওয়াজা (১৩২)। পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ে (২০ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ২১ জানুয়ারি ২০২৩) ১০ টেস্ট, ১৭ ওয়ানডে ও ২০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এই সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৫৫.২৫ গড়ে ১ হাজার ৫৪৭ রান করেছেন স্মিথ। ৯টি ফিফটির সঙ্গে তিনি সেঞ্চুরির দেখা পান তিনবার। টেস্ট ক্রিকেটে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সেঞ্চুরির পর মাঝে ১৬ ইনিংসে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তিনি। পরের ১০ ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনটি, যার একটি ডাবল। সবগুলিই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ে। নারী ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো বেলিন্ডা ক্লার্ক পুরস্কার জেতা মুনি ১২৯ ভোট পেয়ে পেছনে ফেলেছেন অধিনায়ক মেগ ল্যানিং (১১০) ও অলরাউন্ডার তাহলিয়া ম্যাকগ্রাকে (৯৫)। বিবেচিত সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৬৯.৩১ গড়ে ১ হাজার ১০৯ রান করেছেন মুনি। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৯টি ফিফটি করেন তিনি। তার চেয়ে বেশি রান করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার আর কোনো নারী ক্রিকেটার। বর্তমানে আইসিসি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন মুনি। তার হাতে উঠেছে মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কারও। ছেলেদের ক্রিকেটে শেন ওয়ার্ন বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন খাওয়াজা। তিনি ২২ ভোট নিয়ে পেছনে ফেলেছেন লাবুশেন (২০) ও স্মিথকে (১৮)। বিবেচিত সময়ে ৭৮.৪৬ গড়ে ১ হাজার ২০ রান করেছেন খাওয়াজা। এ ছাড়া কমিউনিটি ইমপ্যাক্ট পুরস্কারও জিতেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ছেলেদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। স্মিথের সমান ২৫ ভোট পেলেও টাইব্রেকারের মাধ্যমে ওয়ার্নারের হাতে ওঠে এই পুরস্কার। টি-টোয়েন্টিতে বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন মার্কাস স্টয়নিস। আর এই সংস্করণের সেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন তাহলিয়া ম্যাকগ্রা। ছেলেদের সেরা উঠতি ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘ব্র্যাডম্যান ইয়াং ক্রিকেটার’ নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী পেসার ল্যান্স মরিস। ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন মাইকেল নেসার।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা