ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সোমবার বনানী এলাকায় একটি ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে ইউএনবি ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, হিরো আলম বিকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় হামলার শিকার হন।
এদিকে হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিরো আলমের ওপর শারীরিকভাবে হামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হিরো আলম এখন অচেতন অবস্থায় আছ। তাকে স্যালাইন ও ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে।’
প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ ইলিয়াস রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি আরও জানান, হিরো আলমসহ হামলায় আহতেরা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বলেন, ‘যদি তারা নির্বাচনে জয়ীও হয়, তবুও তারা এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে এমন হামলা ন্যাক্কারজনক।’
তিনি আরও জানান, তারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সহযোগিতা পাননি। সকাল থেকে শুধু তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে কিছু করা হবে কিছু করা হবে বলে।
তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন।
আগের দিন হিরো আলম অভিযোগ করেছিলেন যে তার এজেন্টদের ‘ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে’ এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ‘আ.লীগ কর্মী ও নেতারা হয়রানি’ করেছে।
স্বতন্ত্র এই প্রার্থী বনানী মডেল স্কুল ভোটকেন্দ্রে আজ (সোমবার) সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা আমার এজেন্টদের বের করে দিতে ভীতিজনক কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা নারীসহ আমাদের কয়েকজন এজেন্টকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তাদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়।’
কোন কোন কেন্দ্রে তার এজেন্টদের প্রবেশে সমস্যা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ভাষানটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও জামিয়া মাদরাসা কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘যাইহোক, আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকব।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন এবং সাত জেলার সাতটি পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়।
ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আট প্রার্থী। চলতি বছরের ১৪ মে জনপ্রিয় অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে আসনটি শূন্য হয়।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক নিয়ে), জাতীয় পার্টির (লাঙল) সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র আশরাফুল হোসেন আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ)।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
সাভারে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতা নাঈমকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ