অনলাইন ডেস্ক :
রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ের বিধ্বংসী সূচনা, শিবম দুবের আগ্রাসন, শেষ দিকে আম্বাতি রাইডু ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ঝড়। তারপর মঈন আলীর বল হাতে ঘূর্ণি জাদু। এমন মুহূর্তগুলো চেন্নাই সুপার কিংসকে এনে দিলো এই আইপিএলের প্রথম জয়। সোমবার চেপুকে ঘরের দর্শকদের সামনে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১২ রানে হারিয়েছে তারা। চার বছর পর চেন্নাইয়ের ঘরে ফেরা হলো স্মরণীয়। রুতুরাজ ও কনওয়ের ব্যাটিং তা-বে মাত্র ৬ ওভারে ৭৯ রান তোলে চেন্নাই। ৪৯ বলে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০০ রান। রুতুরাজ ২৫ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে করেন টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় ১১০ রানে তাকে থামতে হয় রবি বিষ্ণয়ের বলে। ৩১ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৫৭ রানে আউট হন চেন্নাই ওপেনার। টানা দুই ওভারে ২ ওপেনারের বিদায়। কনওয়ে ২৯ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৭ রানে মার্ক উডের শিকার। দুবে ১৬ বল খেলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৭ রান করে ফিরে যান। ৩ চারে মঈন ১৩ বলে ১৯ রান করেন। রাইডু ১৪ বলে দুটি করে চার-ছয়ে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ ওভারে নেমেই প্রথম দুই বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে তৃতীয় বলে আউট ধোনি। ব্যাটারদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ২১৭ রান করে চেন্নাই। ম্যাচ শেষে ওই দুটি ছক্কাই সম্ভবত পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। উড ও বিষ্ণয় লখনউর হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন। বড় লক্ষ্যে যেমন শুরুর দরকার, তেমনটাই করেছিল লখনউ। ৫.৩ ওভারে ৭৯ রান তুলে ফেলে তারা। ২১ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ে টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করে থামেন কাইল মায়ার্স। তাকে ২২ বলে ৫৩ রানে থামান মঈন। এরপর ইংলিশ স্পিনারের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লখনউ। ১৬তম ওভারে নিকোলাস পুরান ১৮ বলে ৩২ রান করে ফিরে গেলে চাপে পড়েছিল লখনউ। পাওয়ার প্লেতে টানা তিন ওভার বল করা দীপক চাহার ১৭তম ওভারে বল করতে এসে তিনটি ওয়াইডসহ ১৮ রান দেন। লড়াই কিছুটা জমে ওঠে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৮ রান। প্রথম দুটি বলেই ওয়াইড ও নো বল দেন তুষার দেশপান্ডে। তৃতীয় বলে আয়ুশ বাদোনিকে ফেরান তিনি। শেষ দুই বলে উড চার ও ছয় মেরে কেবল ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন। ৭ উইকেটে ২০৫ রান করে লখনউ। মঈন চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা