অনলাইন ডেস্ক :
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কে ভেবেছিল যে এমন কিছু হতে পারে। সম্ভবত কেউই ভাবেনি। কারণটা স্পষ্ট, আইপিএলের সবচেয়ে সফল ফ্রাঞ্জাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শিরোপা জিতেছে সর্বোচ্চ পাঁচবার। সেই তারাই এবার এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। টানা সাত ম্যাচের সবগুলোতে হেরেছে মুম্বাই। সর্বশেষ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরেছে দলটি। এর মধ্য দিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে এক লজ্জার রেকর্ডের সঙ্গী হলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এতদিন পর্যন্ত প্রথম সাতটি ম্যাচ হারেনি কোনো দল। এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো। সেটাও সর্বোচ্চ শিরোপাধারীরা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় মুম্বাই। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ ওভার ও শেষ বলের রোমাঞ্চে চেন্নাইকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি। অপরাজিত থেকে খেলেছেন মাত্র ১৩ বলে ২৮ রানের ক্যামিং ইনিংস। এই ম্যাচে দীর্ঘদিন পর ফিনিশার ধোনির দেখা মিলেছে। ধোনি যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ২৯ বলে ৫২ রান। আর শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ বলে ১৭ রান। বল করতে আসেন উনাদকাট। প্রথম বলেই আউট হয়ে ফিরে যান ১৪ বলে ২২ রান করা ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে ধোনিকে স্ট্রাইক দেন ডোয়াইন ব্রাভো। এর পরের চারটি বলে রান যথাক্রমে ৬,৪,২ ও ৪। অর্থাৎ শেষ বলে চার মেরেই মুম্বাইয়ের জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছেন ধোনি। এ ছাড়া আম্বাতি রাইডু ৪০ ও রবিন উথাপ্পা ৩০ রান করেন। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে ডানিয়েল সামস ৪টি, উনাদকাট ২টি ও একটি উইকেট নেন রিলি মেরেডিথ। এর আগে ব্যাটিংয়ে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন দলটির দুই ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ১৫ কোটির ক্রিকেটার ইশান কিষাণ। দু’জনই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। পরে তিলাক ভার্মা ৫১, সূর্যকুমার যাদব ৩২, হৃত্তিক শোকিন ২৫ ও উনাদকাট ১৯ রান করেন। চেন্নাইয়ের বোলারদের পক্ষে মুকেশ চৌধুরী ৩টি, ডোয়াইন ব্রাভো ২টি এবং মিচেল শান্টনার ও মাহেশ থিকসানা একটি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন মুকেশ চৌধুরী।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা