অনলাইন ডেস্ক :
বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ২০২৪ সালের আইসিসি উইমেন্স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন নাকচ করে দেওয়াতে সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি সম্ভাব্য বিকল্প হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টুর্নামেন্টটি সরিয়ে নেওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি), দুবাই/আবুধাবিকে বিকল্প হিসেবে দেখছে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে আরও সময় চেয়েছে।
নারী বিশ্বকাপ ইস্যুতে আইসিসি শীঘ্রই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে, সম্ভবত ২০ আগস্ট। আইসিসি অন্যান্য বিকল্পের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে আশা ছাড়েনি বিসিবি। এর আগে, বিসিবি টুর্নামেন্টের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিষয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠি দিয়েছিল। উভয় পক্ষই কী করা যায় তা দেখার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ করছে। কিন্তু গত মাসে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর বিসিবির দীর্ঘদিনের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ একাধিক বোর্ড পরিচালক দেশ ত্যাগ করেছেন।
ভারত একটি আদর্শ বিকল্প ছিল কিন্তু বিসিসিআই একাধিক কারণে, প্রধানত আবহাওয়ার জন্য টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে অস্বীকার করে। আইসিসি বাংলাদেশের মতো একটি টাইম জোন এবং পরিষ্কার আবহাওয়ার একটি আয়োজক দেশ চাইছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সেই মানদন্ডে ভালভাবে ফিট। এ ছাড়া এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) রয়েছে বিশ্বমানের অবকাঠামো।
এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ, ইসিবি ইভেন্টটি আয়োজন করতে আগ্রহী বলে মনে করা হচ্ছে। জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাও আগ্রহী। টুর্নামেন্ট শুরু হতে আর মাত্র ৫০ দিন বাকি, তাই সবাই তাকিয়ে আছে আইসিসির সিদ্ধান্তের দিকে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে প্রস্তুতি ম্যাচগুলো শুরু হওয়ার কথা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী টুর্নামেন্টটি ৩ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে, যাতে ১০টি দল অংশগ্রহণ করে মোট ২৩টি ম্যাচ খেলবে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা