অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিভার ঝলক ও বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেট দিয়ে নজর কাড়া ইয়ানেমান মালান ২০২১ সালের পুরোটা সময়ই ছিলেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে উজ্জল। এবার তারই স্বীকৃতি পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটার। গত বছরের আইসিসি বর্ষসেরা পুরুষ উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন তিনি। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থার ওয়েবসাইটে রোববার ২০২১-এর সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করা হয়। মেয়েদের বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানের ফাতিমা সানা। দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে মূলত তার অভিষেক ২০১৯ সালে, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। তবে শুরুতে পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে। পরের বছর বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী জেঁকে বসার আগে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১২৯ রানের সেই ইনিংসকে বলা যায় তার আগামনী বার্তা। ২০২১ শুরু হতেই স্বরূপে ধরা দিতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। গেল বছর তিনি খেলেছেন ৮টি ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টি। এর মাঝে ৫০ ওভারের সংস্করণেই মালানের সত্যিকারের প্রতিভা ফুটে উঠেছে। এই সংস্করণে বর্ষসেরা একাদশেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সেরা হওয়ার পথে তার যাত্রার শুরু পাকিস্তানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। এরপর একই দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠেও খেলেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সেঞ্চুরিয়নে দলটির দুই সংস্করণে দারুণ দুটি ইনিংস খেলেন; ওয়ানডেতে ৭৫ আর টি-টোয়েন্টিতে ৫৫। তবে মালানের খ্যতিটা মূলত ছড়িয়ে পড়ে গত ১৬ জুলাই, ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস দিয়ে। সেদিনের তার ১৬৯ বলের ইনিংসটি ১৬টি চার ও ৬টি ছক্কায় গড়া। ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মধ্যে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ওপেনিংয়ে গড়েছিলেন ২২৫ রানের চমৎকার জুটি। এর মাস দেড়েক পর কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মালান খেলেন ১২১ রানের ইনিংস। সারা বছরে মোট ১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৭১৫ রান করেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান, ৪৭.৬৬ গড়ে ও ১০১.৮৫ স্ট্রাইক রেটে। উপহার দেন দুটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি। নারী ক্রিকেটে গত বছর ১৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ২৩.৯৫ গড়ে ২৪ উইকেট নেন সানা। আর ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারে ১৬.৫০ গড়ে রান করেন মোট ১৬৫। ২০২১ এর বছর জুড়েই ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়িয়ে পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন ২০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ঘরের মাঠে খেলা ছাড়াও দলের সঙ্গে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফর করেন ডানহাতি এই পেসার। ২৪ উইকেটের ১৮টিই তিনি নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবিয়ানদের আক্রমণাত্মক ব্যাটারদের বিপক্ষে দৃঢ় মানসিকতার প্রমাণ রাখতে এবং তাদেরকে বেঁধে রাখতে সক্ষম হন তিনি। আর ইনিংসের শেষ দিকের ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যথাক্রমে অপরাজিত ২৮, অপরাজিত ২২ ও অপরাজিত ১৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা