September 22, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 17th, 2023, 8:45 pm

আগে থেকে কিছু বলতে পছন্দ করেন না অর্ষা

অনলাইন ডেস্ক :

নতুন এক অবতারে নাজিয়া হক অর্ষা। মাছরাঙা টেলিভিশনে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে প্রচারিত হয় তুহিন হোসেনের নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ক্যাম্পাস’-এর প্রথম পর্ব। এতে অর্ষা অভিনয় করেছেন ছাত্রনেতা শবনমের চরিত্রে। কোনো অন্যায়, অনিয়ম হলেই রুখে দাঁড়ায় শবনম। তার এই প্রতিবাদী চরিত্রের জন্য বেশ জনপ্রিয়তাও রয়েছে ক্যাম্পাসে। অর্ষা বলেন, ‘একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যা যা ঘটে সবটাই উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকে। এখানে প্রেম আছে, প্রতিবাদ আছে, আছে অন্যান্য বিষয়ও। আমার চরিত্রটা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার জায়গা ছিল। সেটা করেছিও। দর্শকদের ভালো লাগবে।’ বরাবরই বেছে বেছে কাজ হাতে নেন অর্ষা। একই সঙ্গে অনেকটা প্রচারবিমুখও। কোনো কাজ হাতে এলেই সবাইকে জানান দিতে পছন্দ করেন না। বলেন, ‘আরো কয়েকটি কাজ করছি। তবে সেগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই না।

আগে শুটিং শেষ হোক, প্রচারের তারিখ চূড়ান্ত হোক। তারপর সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। প্রচারে থাকতে ভালো লাগে না আমার। নীরবে কাজ করে যাওয়াটাই স্বভাব।’ এ বছর অর্ষা অভিনীত ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ মুক্তি পেয়েছে। হৃদি হকের ছবিটিতে ছোট একটি চরিত্রে হাজির হয়েছিলেন। তাঁর স্বল্প উপস্থিতিও দর্শক-সমালোচকদের নজর কেড়েছে। অর্ষা বলেন, ‘আমি সরাসরি যেমন প্রশংসা পেয়েছি, তেমনি ফোনেও অনেকের ভালোবাসা পেয়েছি। অনেকে বলেছেন, আরেকটু উপস্থিতি থাকলে ভালো হতো। তবে আমার মনে হয়েছে, যেটুকু উপস্থিতি ছিল সেটুকুই যথেষ্ট। আর বেশি হলে সবার মনে আমার চরিত্রটি নিয়ে যে আকাক্সক্ষা জন্মেছে সেটা তৈরি হতো না। আমি খুশি।’

অর্ষার হাতে নতুন একটি চলচ্চিত্র আছে। নামধাম, পরিচালক, সহশিল্পী কোনোটাই জানাতে চান না। বলেন, ‘আমি আসলে আগে থেকে কিছু বলতে পছন্দ করি না। একটা ভালো কাজ হলে এমনিতেই চারদিকে রোল পড়ে যায়। নিজে থেকে কিছু বলা লাগে না।’ অর্ষার মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। সপ্তাহে তিন দিন তাঁকে ডায়ালিসিস করাতে হয়। তিন বোন পালাক্রমে মায়ের জন্য সময় দেন। অর্ষা বলেন, ‘আগে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালিসিস করালেই চলত। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে এখন সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালিসিস করাই। আমার শুটিং থাকলে বোনেরা মাকে সময় দেয়। যেদিন শুটিং থাকে না পুরো সময়টা মায়ের সঙ্গে কাটানোর চেষ্টা করি। মা এখন আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ আছেন। হাসপাতাল থেকে বাসায়ও এনেছি। আশা করছি দ্রুত মা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন।’