অনলাইন ডেস্ক :
বছরের তৃতীয় মাসের মাঝামাঝি চলছে কেবল। এখনই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হাজার রানের ঠিকানায় পৌঁছে গেলেন বাবর আজম। চলতি বছরে রানের তালিকায় পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যানের ধারেকাছে আপাতত নেই কেউ। পিএসএলের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বৃহস্পতিবার ৪২ বলে ৪৬ রানের ইনিংসের পথে হাজার রান স্পর্শ করেন পেশাওয়ার জালমি অধিনায়ক। এই নিয়ে গত ছয় পঞ্জিকাবর্ষের পাঁচটিতেই হাজার রানের মাইলফলক পেরোলেন তিনি। ম্যাচটিতে অবশ্য বাবরদের ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা চতুর্থ ফাইনালে পৌঁছে গেছে মুলতান সুলতান্স। এবারের পিএসএলে অসাধারণ ফর্মে আছেন বাবর। ১০ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটিতে ৫৪৪ রান করেছেন তিনি ৬০.৪৪ গড়ে।
গোটা টুর্নামেন্টে ৪০০ রানও নেই আর কারও। এই সংস্করণে তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন উঠলেও চলতি আসরে সেখানেও তিনি দুর্দান্ত। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে দ্রুততায় রান তুলতে না পারলেও টুর্নামেন্টে তার স্ট্রাইক রেট ১৪৪.২৯। সব মিলিয়ে এই বছর এখনও পর্যন্ত ২১ ইনিংসে তার রান ৫৩.০৫ গড়ে ১ হাজার ৮। সেঞ্চুরি ১টি, ফিফটি ১০টি। স্ট্রাইক রেট ১৩৫.১২, যা তার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেটের (১২৯.৪৭) চেয়ে ভালো। দুইয়ে থাকা রাসি ফন ডার ডাসেন আছেন বাবরের অনেকটা পেছনে।
২ সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে ১৯ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের রান ৭৬২। এমন নয় যে অন্যদের চেয়ে বেশি ইনিংস খেলে এতটা এগিয়ে গেছেন বাবর। তিনে থাকা ইংলিশ ব্যাটসম্যান জেমস ভিন্স যেমন বাবরের চেয়ে চার ইনিংস বেশি খেলেও রান করেছেন মোট ৭০৭। বাবরের সমান ২১ ইনিংস খেলে স্বদেশি মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬৫০ রান নিয়ে আছেন চারে। ৬৩৪ রান করে ছয়ে আছেন অ্যালেক্স হেলস, ২৪ ইনিংস খেলে। ২৩ ইনিংস খেলে ৬৩২ রান দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রিজা হেনড্রিকসের।
তবে আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রায়ান রিকলটনের কথা উল্লেখ করতে হবে আলাদা করে। ১৩ ইনিংস খেলেই ৬৪৯ রান করে পাঁচে আছেন তিনি। গড় ৫৪.০৮, স্ট্রাইক রেট ১৭০.৭৮! টানা চার বছর হাজার ছোঁয়ার পর গত বছর এই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে বাবরের। ২৩ ইনিংস খেলে তার রান ছিল ৯১৩। এর আগের বছর ৩৬ ইনিংসে ১ হাজার ৭৮ রান করে তিনি ছিলেন ২৩তম স্থানে। ক্যারিয়ারের সেরা বছর কাটিয়েছেন তিনি ২০২১ সালে। সেবার ৪৩ ইনিংসে ১ হাজার ৭৭৯ রান করে ছিলেন দুইয়ে। ২০২০ ও ২০১৯ সালে দারুণ পারফরম্যান্স ছিল তার।
দুবারই তিনি ছিলেন রানের তালিকায় সবার ওপরে। ২০২০ সালে ২৯ ইনিংসে ১ হাজার ২৪২ রান করেন স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান, ২০১৯ সালে ৩৯ ইনিংসে তার রান ছিল ১ হাজার ৬০৭। গতবছরের আগে ২০১৮ সালে তিনি হাজারের দেখা পাননি। তবে খুব পিছিয়েও ছিলেন না। সেবার ২৩ ইনিংস খেলে তার রান ছিল ৯৬৫।
বাংলাদশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই বছর এখনও পর্যন্ত ১৭ ইনিংসে ৫০২ রান করে সবার ওপরে তাওহিদ হৃদয়। ১৫ ইনিংসে ৪৯২ রান করে দুইয়ে বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা তামিম ইকবাল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্বরেকর্ড মোহাম্মদ রিজওয়ানের। ২০২১ সালে ৪৫ ইনিংস খেলে পাকিস্তানের কিপার-ব্যাটসম্যান করেছিলেন ২ হাজার ৩৬ রান। পরের বছর ৬১ ইনিংস খেলে ১ হাজার ৯৪৬ রান করা অ্যালেক্স হেলস আছেন রেকর্ডের দুইয়ে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক পঞ্জিকাবর্ষে এক হাজার রানের একমাত্র কীর্তিটি তামিম ইকবালের। ২০১৬ সালে ৩০ ইনিংসে ১ হাজার ১১১ রান করেছিলেন এই ওপেনার।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা