April 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, November 11th, 2022, 3:40 pm

আদালতে প্রধান আসামী মুছার জবানবন্দি: কুলাউড়ায় পাওনা টাকা পেতে জয়নালকে ডেকে এনে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:

পাওনা টাকা পেতে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফল ব্যবসায়ী জয়নাল মুন্সী (৪৫)কে কুলাউড়ায় ডেকে এনে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে মো: মসনবী উর রহমান মুছা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে জয়নাল হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মো: মসনবী উর রহমান মুছা বিষয়টি স্বীকার করে।

এর আগে বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার গৌরাঙ্গুলা গ্রামে বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা মুছাকে সেখানকার পুলিশের ও আসামীর পরিবারের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করে কুলাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়।

কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, জয়নাল হত্যা মামলার প্রধান আসামী মুছা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানায় সে কয়েক বছর আগে রাজনগরের দত্তগ্রাম জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। সেসময় থেকে ওই গ্রামের মুন্সীবাড়ির বাসিন্দা জয়নালের সাথে সু সম্পর্ক গড়ে ওঠে কুলাউড়া জয়চন্ডীর পাঁচপীর জালাই গ্রামের মো. মসনবী উর রহমানের।

৪ বছর আগে সেখান থেকে ইমামতির দায়িত্ব ছেড়ে কুলাউড়ায় তাঁর বাড়িতে চলে গেলেও জয়নাল ও মসনবির লেনদেনের সম্পর্ক ছিলো। জয়নালের কাছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা পাওনা ছিলো মুছার। সেই টাকা ফেরত পেতে মুছা নিজ এলাকায় জয়নালকে ডেকে আনেন। এ সময় ঘটনাস্থলে জয়নাল ও মুছা একা ছিলো। পাওনা টাকার জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মুছার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে জয়নালকে জখম করে ফেলে রেখে যায়। এতে জয়নালের মৃত্যু হয়।

আমিনুল ইসলাম আরো বলেন, মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় জয়নালকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামী মসনবী উর রহমান সহযোগিদের নিয়ে কুলাউড়ার জয়চন্ডীর পূর্ব রঙিরকুল এলাকার নোয়াবাগিচা বাগানের পাশে ডেকে এনে ছুরিকাঘাতে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে জয়নালের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের পুত্র মাছুম মুন্সি থানায় ৬ জনের নামোল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বুধবার পুলিশ মামলার আরো দুই অভিযুক্ত জয়চন্ডীর ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনু মিয়া (৫০) ও তাঁর শ্যালক শরীফ মিয়া (৩৬) কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।