প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঢাকার একটি আদালতের লক-আপ থেকে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেক ব্যক্তির তথ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়ার এআইজি মো. মনজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে সহায়তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর-রশিদ জানান, পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
হারুন বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই পুলিশ সদস্যের চোখে কিছু স্প্রে করে এবং তাদের আদালতে নেয়ার সময় পালিয়ে যায়। আমরা কাছাকাছি এলাকায় তাদের খোঁজ করছি। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাহধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন শাহবাগ থানায় মামলা হয় এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলায় আনসার-আল-ইসলামের আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
এরপর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামি হলেন- মো. আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খায়রুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন ওরফে শাহরিয়ার, মো. শেখ আবদুল্লাহ আলী জুয়াস আলী। জাভেদ, সৈয়দ জিয়াউল হক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন বরখাস্ত মেজর যিনি সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড়ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ নামে পরিচিত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাঈদ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ