অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রথমবার বিশ্ব নেতাদের সামনে দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মোদী তালেবানের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদ আরও মাথাচাড়া দিতে পারে। সন্ত্রাসবাদ রুখতে দেশটির পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন আটটি সদস্য দেশ ও পাঁচটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়েও আলাপ সেরে নিচ্ছেন অংশগ্রহণকারী নেতারা। তালেবানের কাবুল দখলের বিষয়টি টেনে মোদী বলেন, আফগানিস্তানে ক্ষমতার পরিবর্তন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি, বরং আলোচনা ছাড়াই হয়েছে। আমাদের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। সংঘাতকবলিত দেশটিতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর তাগিদ দিয়ে মোদী বলেন, আফগানিস্তানের চারটি বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে আফগানিস্তানের নতুন ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, প্রথমত আফগানিস্তানে ক্ষমতার পরিবর্তন অন্তর্ভুক্তিমূলক নয় এবং আলোচনা ছাড়াই সংঘটিত হয়েছে। যেটি নতুন সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তানের সব শ্রেণিপেশার মানুষ বিশেষ করে নারী ও ক্ষুদ্র জাঁতি গোষ্ঠীর ব্যাপারে কী হচ্ছে তা বিবেচনায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত সন্ত্রাসবাদ ত্বরান্বিত হওয়ার বিষয়টি নজরে আনার দরকার। আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যে আফগানিস্তানের মাটি যেন সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার না হয়। সন্ত্রাসবাদ রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে মানতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই। তৃতীয়ত, মাদক, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা ও মানবপাচারের ব্যাপারে সতর্ক করে নরেন্দ্র মোদী সদস্য দেশগুলোকে এ ধরনের যে কোনো তথ্য শেয়ার করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এসসিও রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্ট্রাকচার (আরএটিএস) কৌশল এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চতুর্থত বিষয় উল্লেখ করে মোদী বলেন, আফগানিস্তানে এখন মানবিক সঙ্কট চরমে। দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিতে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ভারত সর্বোতভাবে আফগানিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। আর্থিক সম্ভাবনাময় এই দেশে বিনিয়োগ করতেও ভারত আগ্রহী। তবে তার জন্য দরকার পারস্পরিক আস্থা ও সীমান্তের বিষয়গুলো মেনে চলা।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২