অনলাইন ডেস্ক:
আফগানিস্তানের দখল এখন তালেবানের হাতে। তারাই শাসন করবে দেশটি। এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই চাপা উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। আফগানিস্তানের নাগরিকদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে বেশির ভাগ নাগরিকই মনে করছেন তালেবানের কট্টর শাসনের মুখে চ্যালেঞ্জে পড়ে যাবে দেশটির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের লোকেরাও আছেন আতঙ্কে। সেই আতঙ্কের মধ্যেই ঘোষণা এলো- আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে গান-বাজনা। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তালেবানদের শাসন চলাকালীন আফগানিস্তানে সংগীতের অনুমোদন থাকবে না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। এ তালেবান নেতা আরো বলেন, ইসলামে সংগীত নিষিদ্ধ। আমরাও চাই না। আমরা চাই জোর করে কিছু চাপানোর আগেই মানুষ নিজেরাই সংগীত এড়িয়ে চলতে শুরু করবে। আফগানিস্তানে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনে সংগীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আইন অমান্যকারীদের ভয়াবহ শাস্তির মুখে পড়তে হতো। এরপর তালেবান শাসনের অবসান ঘটলে দেশটিতে ব্যাপক হারে সংগীতচর্চার প্রসার ঘটে। গড়ে ওঠে জাতীয় সংগীতপ্রতিষ্ঠানও। পুরুষদের পাশাপাশি ব্যাপক হারে নারীরাও অংশ নিতে থাকেন সংগীতে।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ