অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তান থেকে ৭ হাজারের বেশী লোককে কাতারে সরিয়ে আনা হয়েছে। উপসাগরীয় দেশটির এক কর্মকর্তা শনিবার এ কথা জানান। বিশৃংঙ্খল উদ্ধার অভিযানে হাজার হাজার লোক হুড়োহুড়ি করে কাবুল ত্যাগ করেছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদের পাশাপাশি আফগান দোভাষী, সাংবাদিক এবং অন্যান্যদের কাবুল থেকে সরিয়ে আনার ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিকটবর্তী কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাতারের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, “আন্তর্জাতিক প্রত্যাহার অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে ৭ হাজারের বেশী লোককে কাতারে সরিয়ে আনা হয়েছে।”
ওই কর্মকর্তা বলেন, “এনজিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থার অনুরোধে আমরা শত শত আফগান কর্মচারী ও তাদের পরিবারসহ সারা দেশের ছাত্রীদের সরিয়ে নিয়ে যাই।”
তিনি বলেন, এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশ তাদের নাগরিকদের সরিয়ে আনছে, আমাদের এই স্থানান্তরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তরা নিশ্চিত করেছেন যে, কাতারের বিমান ঘাঁটিতে সরিয়ে আনা লোকদের ভিড়ের কারণে শুক্রবার প্রায় সাত ঘন্টা ধরে স্থানান্তর কার্যক্রম স্থগিত ছিল।
কাতারের এই কর্মকর্তার মতে, দোহা শেষ পর্যন্ত ৮ হাজার আফগান নাগরিককে আশ্রয় দিবে, বর্তমান ৭ হাজার লোকের মধ্যে অনেকেই তৃতীয় আরেকটি দেশে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতও একটি স্থানান্তর কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, ব্রিটেন ও ফরাসি কর্তৃপক্ষ রাজধানী আবুধাবীকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে আনার ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করছে।
সরকার জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৫শ’ও বেশী লোককে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক