November 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, August 17th, 2021, 9:09 pm

আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার পক্ষে জাফরুল্লাহ

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত " করোনা ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় নাগরিক ভাবনা" শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

অনলাইন ডেস্ক :

আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতির কারণে সেখানকার কিছু শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের বিষয়ে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, তাদের কিছু লোক যদি আমাদের এখানে থাকে তবে খুব বেশি অসুবিধা হবে না। এতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের একটা জায়গা হতো। মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ‘করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এ বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। আফগান শরণার্থীদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ এরইমধ্যে নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। গত সোমবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে আফগানিস্তানের লোকদের আশ্রয় না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় ভুল করেছেন। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া, সেটি থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। তারা বিপদে পড়েছে, তাদের কিছু লোক যদি আমাদের এখানে থাকে তাহলে খুব বেশি অসুবিধা হবে না। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের একটা জায়গা হতো। সকালে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ বলেন, সরকার একের পর এক ভুল করছে। বিএনপিকর্মীরা নতুন দায়িত্ব পেয়েছে তাদের নেতাকে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে কেন আপনারা পুলিশ দিয়ে পেটাবেন। এ ধরনের কাজ আপনারা খুব খারাপ করছেন। যে পুলিশ দিয়ে আজ তাদের পেটাচ্ছেন, একদিন দেখবেন এই পুলিশ ঘুরে দাঁড়াবে। এসব বন্ধ করেন। আসলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র না হলে যা হয়, তাই করছে এই সরকার। গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই ট্রাস্টি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বলে গিয়েছিলেন, যেখানে মুক্তির আন্দোলন হবে সেখানে আমাদের সমর্থন থাকবে। এটি সংবিধানে লেখা আছে। ভারতে যতগুলো আন্দোলন হচ্ছে আমাদের লুকোচুরি না করে সরাসরি সমর্থন করা দরকার। তা না হলে মহাবিপদ আসবে। আজকে যদি তালেবানদের স্বীকৃতি না দেই তাহলে তারা ভারতের হিন্দুত্ববাদের মতো কট্টরপন্থার দিকে যাবে। সেখানে তারা উদারপন্থি ইসলামি রাষ্ট্র না হয়ে কট্টরপন্থি ধর্মান্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আমরা যদি তাদের এখনই স্বীকৃতি দেই, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করি, তবে তাদের প্রভাবিত করতে পারি একটা উদার ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য। তাই আজ তাদের বাইরে ঠেলে না দিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক করা উচিত এবং তাদের দ্রুত স্বীকৃতি দেয়া উচিত। গোলটেবিল বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ যদি না বাঁচে তাহলে দেশের এত উন্নয়ন দিয়ে কী হবে? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাইকে টিকার আওতায় আনবেন। গণটিকাদান শুরু হলো। কয়েক দিন যেতে না যেতেই মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) স্বাস্থ্যমন্ত্রী (জাহিদ মালেক) বললেন, তাদের কাছে টিকা নেই। গণটিকাদান কর্মসূচি বন্ধ। রাগটা কার না উঠবে? জাফরুল্লাহ সাহেব বলেছিলেন, রাশিয়ান টিকা এনে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। জাফরুল্লাহর বলে তারা সেই টিকা নিলো না। এখন বলছে রাশিয়ান টিকা পাওয়া অনিশ্চিত। তারা পাওয়া টিকাটা নিলো না। এজন্য তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। অর্থাৎ এই সরকারের আমলে আমরা নিরাপদ নই। চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার সমাধিস্থলে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, যে কোনো দলের কর্মীরা তাদের নেতার কবরে ফুল দিতে যায়। এটা স্বাভাবিক। তাতে তাদের পেটাতে হবে, গুলি করতে হবে, এইরকম ঘটনা কখনো দেখিনি। আপনারা সীমান্ত বন্ধ করতে পারেন না। সীমান্ত দিয়ে ভাইরাস নিয়ে মানুষ ঢুকে যায়, সেটা বন্ধ করতে পারেন না। কেবল বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন করতে পারেন। আপনাদের উন্নয়ন মানে অত্যাচারী উন্নয়ন। এসব উন্নয়ন আমাদের শোনানোর দরকার নেই। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন, যুব মিশনের আহ্বায়ক ইমরুল কায়েস, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন প্রমুখ।