অনলাইন ডেস্ক :
২০০৬ বিশ্বকাপে ফরাসি সুপারস্টার জিনেদিন জিদানের সেই ঢুসের কথা ফুটবল ইতিহাসে স্থায়ী জায়গা পেয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে নিয়মিতভাবেই সেই ঘটনা সামনে চলে আসে। কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবারও আলোচনায় জিদানের ঢুস। অবসর ভেঙে দলকে বিশ্বকাপে তুলেছিলেন জিদান। সেই দল উঠে গিয়েছিল ফাইনালে। ইতালির বিপক্ষে ফাইনালে গোল করে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর মেজাজ হারিয়ে মাতোরাজ্জিকে সেই ঢুস মারেন জিদান। অভিযোগ, জিদানের বাবা-মা তুলে গালি দিয়েছিলেন মাতোরাজ্জি। এই ঘটনায় অখ্যাত মাতোরাজ্জি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। জিদানকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। দলের সেরা তারকাকে হারিয়ে ফ্রান্সও আর বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এর সাত বছর পর ২০১৩ সালে জিদানের সেই ‘ঢুস’ স্মরণীয় করে রাখতে আলজেরিয়ায় জন্ম নেওয়া ফ্রেঞ্চ শিল্পী আদেল আবদেস সামাদ একটি ভাস্কর্য তৈরি করেন। ১৫ ফুট উচ্চতার ব্রোঞ্জের তৈরি সেই ভাস্কর্য কিনে নিয়েছিল কাতার জাদুঘর। দোহায় সমুদ্রের পাশে সেই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর দেশটির রক্ষণশীল লোকজন এই ভাস্কর্যের বিরোধিতা শুরু করে। একটা ফুটবলীয় ভাস্কর্যকে ‘মূর্তিপূজা’র সঙ্গে তুলনা করে রটনা করা হয়েছিল। জনগের ক্ষোভের মুখে মাত্র তিন সপ্তাহ পর ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। সেই ভাস্কর্যই এবার কাতার জাদুঘরে পুনঃস্থাপিত হচ্ছে। তবে উন্মুক্ত স্থানে নয়। কাতার জাদুঘরের ভেতরেই থাকবে জিদানের ঢুস মারার সেই ভাস্কর্য। কাতারের কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এত বছর পর দেশের জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। তাই ভাস্কর্যটি স্থাপিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাতার জাদুঘরের চেয়ারপারসন আল-মায়াসা আল থানি বলেন, ‘সমাজ বিবর্তিত হয়। এটা হতে সময় লাগে। মানুষ হয়তো প্রথমে কোনো কিছুর সমালোচনা করে, কিন্তু একসময় সেটা বুঝতে পারে এবং সেটা মেনে নেয়। জিদান কাতারের খুব ভালো বন্ধু এবং আরববিশ্বের জন্য দারুণ এক আদর্শ। শিল্প হলো অন্য সব কিছুর মতোই রুচির ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য মানুষের ক্ষমতায়। ‘
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা