অনলাইন ডেস্ক :
রুবেল হোসেনের স্লোয়ার ডেলিভারি মিড উইকেটে ঠেলে রান নিতে গিয়েও থেমে গেলেন এনামুল হক। তবে ফিল্ডার ধরতে পারলেন না বল, এনামুল ছুটতে শুরু করলেন আবার। মাঝ পিচে থাকতেই খুলে ফেললেন হেলমেট। ক্রিজে ঢোকার আগেই উঁচিয়ে ধরলেন ব্যাট। আরও একটি সেঞ্চুরি! মুখের চওড়া হাসি যেন তখন থামেই না। অবশ্য থামবেই বা কেন! তার ব্যাটের হাসি যে আরও উজ্জ্বল। গত আসরের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবারও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অপ্রতিরোধ্য এনামুল। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেললেন দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস। এবারের লিগে এটি তার টানা দ্বিতীয় আর সব মিলিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরি। ৭ ম্যাচেই রান ছুঁতে চলেছে ৬০০! বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেন আবাহনী লিমিটেডের ওপেনার। ১২৭ বলের ইনিংসে ১৩ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা মারেন ৩০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার অষ্টাদশ সেঞ্চুরি এটি। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১২৩ রানের ইনিংসে এবারের লিগ শুরু করেন এনামুল। পরের চার ম্যাচে দুইবার পঞ্চাশ পেরোলেও পাননি তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া। তবে সবশেষ দুই ম্যাচেই সিক্ত হলেন তিনি শতরানের সাফল্যে। এখন পর্যন্ত লিগের সাত ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে ৫৭২ রান করে ফেলেছেন এনামুল। গত আসরে প্রাইম ব্যাংকের জার্সিতে ১৫ ম্যাচ খেলে ৩ সেঞ্চুরি ও ৯ ফিফটিতে করেছিলেন রেকর্ড ১ হাজার ১৩৮ রান। এবারও সেই পথ ধরেই ছুটছে তার রানের রথ। প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে নাইম শেখকে সঙ্গে নিয়ে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন এনামুল। দশম বলে প্রথম বাউন্ডারি মারেন তিনি। এরপর আর থামেননি আবাহনীর ওপেনার। ৬২ বলে ৫ চারে পূরণ করেন ফিফটি। সেখান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে তার লাগে ¯্রফে ৩৭ বল। ৩টি চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছক্কা। তিন অঙ্ক ছুঁয়ে আরও আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায় এনামুলকে। একশ থেকে দেড়শতে যেতে খেলেন ¯্রফে ২৬ বল। মারেন আরও ৩টি ছক্কা ও ৫টি চার। অলক কাপালির এক ওভারে পরপর তিন বলে ৬, ৪ ও ৬ মারেন তিনি। ৪৫তম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে বিশাল চৌধুরির হাতে ক্যাচ দিয়ে থামে তার ইনিংস। এনামুলের মতো সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন নাইমও। তবে নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়েন বাঁহাতি ওপেনার। দলীয় ১৮৩ রানে করিম জানাতের স্লোয়ারে শর্ট কভারে আলগা শট খেলে নিজের উইকেট হারান তিনি ১০২ বলে ৯৪ রান করে। এবারের আসরে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। ১ সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে এখনও পর্যন্ত তার সংগ্রহ ৫০৬ রান। এনামুল-নাইমের পর আফিফ হোসেনের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩৩৬ রান তোলে আবাহনী। তিন নম্বরে নেমে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৪৭ বলে ৫৩ রান করেন সম্প্রতি জাতীয় দল থেকে জায়গা হারানো আফিফ।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা